
নিউজ ডেক্স : বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুরে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৯ মে) ভোরে উপজেলার বামরাইলে যমুনা লাইন পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারালে এ ঘটনা ঘটে। উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- ঝালকাঠি ওজলা সদরের নেয়ড়ী এলাকার মনির হোসেন হাওলাদারের ছেলে আরাফাত হোসেন হাওলাদার (৯), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর ভেচকি এলাকার কুদ্দুস আকনের ছেলে নজরুল ইসলাম আকন (৩৫), একই উপজেলার ভেচকি এলাকার রাকিব আকনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (২০), বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাজিরবাদ এলাকার মোবারক আলী বেপারীর ছেলে হালিম মিয়া (৩১), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার সুতারকান্দা এলাকার মৃত আওলাদ আলীর ছেলে সেন্টু মোল্লা (৫০), বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার সুন্দরকাঠি গ্রামের মৃত আবুল কাশেম হাওলাদারের ছেলে রমজান হাওলাদার (৩৮) ও বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মুন্ডুপাশা গ্রামের মনোরঞ্জন শীলের ছেলে মাধব শীল (৪৫)

উজিরপুর থানার ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাসটি ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে এ ঘটনা ঘটে। বাসটি উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানান, আহতদের মধ্যে মাধব শীল (৪৫) নামের এক ব্যক্তি শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার পিতার নাম মনোরঞ্জন বলে জানা গেছে।
হাইওয়ে পুলিশের ওসি শেখ বেলাল হোসেন জানান, বাস থেকে ৮ জন, পাশের ডোবা থেকে ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং শেবাচিম হাসপাতালে আহত ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গৌরনদী ও উজিরপুরের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাসটি কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। -বাংলানিউজ