ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ভুলবশত ইউক্রেনের বিমান ভূপাতিত, ইরানে বিক্ষোভ

ভুলবশত ইউক্রেনের বিমান ভূপাতিত, ইরানে বিক্ষোভ

1-954

আন্তর্জাতিক ডেক্স : ইরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দরের কাছে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজধানী তেহরানে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রথমদিকে ওই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিজেদের দোষের কথা স্বীকার না করলেও পরে শনিবার সকালে ইউক্রেনের বিমান দুর্ঘটনার পেছনে নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করে নেয় তেহরান।

কর্মকর্তারা কেন দীর্ঘ সময় ধরে এই ঘটনা নিয়ে মিথ্যা বলেছেন সেই ক্ষোভ থেকেই বিক্ষোভ করছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। ভুলবশত ইউক্রেনের ওই বিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করে তেহরান।

বিক্ষোভকারীরা দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নিলে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিক্ষোভকে অনুপ্রেরণামূলক উল্লেখ করে টুইট করেছেন।

বিমান দুর্ঘটনার তিনদিন পর এই ঘটনার দোষ স্বীকার করেছে ইরান। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ১৭৬ জন নিহত হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধানের জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়।

এরপর গত ৮ জানুয়ারি ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। ওই হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান খামেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের তিন মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয়।

কিন্তু বিমানটি কিভাবে বিধ্বস্ত হলো প্রথমদিকে সে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। পরে গত শনিবার ইরান জানিয়েছে, তারা ভুলবশত বিমানটি ভূপাতিত করেছে।

ওই দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা অধিকাংশ আরোহীই ইরানি এবং ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক। নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন কানাডীয়, ১০ জন সুইডেনের, চারজন আফগানিস্তানের, তিনজন জার্মানির এবং তিনজন ব্রিটেনের নাগরিক। অপরদিকে নয় ক্রুসহ ১১ জন ইউক্রেনের নাগরিক নিহত হয়েছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা শরীফ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন। প্রথমদিকে তারা নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাবেশ করেন। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে বিক্ষোভে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

যারা বিমান বিধ্বস্তের পেছনে দায়ী এবং যারা এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। কমান্ডার ইন চীফ এবং সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পদত্যাগ এবং মিথ্যাবাদীদের মৃত্যুর দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয় তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!