নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের গারাঙ্গিয়া-আলুরঘাট সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে এ সড়কের পাশে বসবাসকারী কয়েক হাজার গ্রামবাসী ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে।
একদিকে খরস্রোতা ডলু খালের বেপরোয়া ভাঙন, অপরদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী চক্রের দাপটে ‘দৃষ্টিনন্দন সড়ক’ খ্যাত এ সড়কের কয়েকটি স্থান তছনছ হয়ে গেছে। এ কারণে আতঙ্কে আছে গারাঙ্গিয়ার পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। শিগগিরই ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আগামী বর্ষায় ডলু খালের খরস্রোতে অনেক ঘর-বাড়ি বিলীনের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ১৭নং সোনাকানিয়া ইউনিয়নের বৃহত্তর গারাঙ্গিয়া এলাকার গারাংগিয়া-আলুরঘাট সড়কের পশ্চিম পাশের বাসিন্দারা বিগত কয়েক বছরের অব্যাহত ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। সড়কটি ডলু খাল ঘেঁষে হওয়ায় সবসময় স্থানীয় বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। বর্তমানে ডলু খালে স্রোত না থাকলেও খালের কয়েকটি স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অব্যাহতভাবে বালু তোলার কারণে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কে ভাঙনের কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
গারাঙ্গিয়া এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের মনির মেম্বারের ঘাটা, হালদার মুখ, সমশু মেম্বারপাড়া এলাকা, আবদুল আলীম চৌধুরীপাড়া এলাকা, আলুরঘাট এলাকা ও গারাংগিয়া উচ্চবিদ্যালয় এলাকা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছে। তা ছাড়া হুমকি মুখে পড়েছে গারাংগিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, দক্ষিণ গারাংগিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিণ গারাংগিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্যগারাংগিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গারাংগিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, আলুরঘাট এবতেদায়ী মাদ্রাসা, হাতিয়ারপুল এবতেদায়ী মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
গারাঙ্গিয়া এলাকার সমাজসেবক এডভোকেট কামাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এরফানুল করিম চৌধুরী, আলুরঘাট এলাকার মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন জানান, এখন বর্ষাকাল না হলেও ভাঙ্গন থেমে নেই। এলাকার প্রভাবশালীদের অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সড়ক ভাঙছে বারবার। ডলুখালের ভাঙ্গন থেকে গারাঙ্গিয়া-আলুরঘাট সড়ক রক্ষা করতে হলে পাথর ঢালাইয়ের পাশাপাশি বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলার সোনাকানিয়ার ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মনিউল আলম মনির ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গির আলম জানান, খরস্রোতা ডলু খালের ভাঙন ও অবৈধ বালু ব্যাবসায়ীদের কবলে পড়ে গারাঙ্গিয়ার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খালের ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ও ধসে পড়া সড়ক মেরামত না করলে পুরো গারাঙ্গিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক