নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়া উপজেলায় চলতি বছর আমন ধান স্বাভাবিক সময়ের আগে কাটা শুরু হয়েছে। আমন রোপণে দৈনিক মজুরি খরচ, বন্যা, আগাছা, সার, কীটনাশক ইত্যাদি মিলিয়ে এ বছর উত্পাদন খরচ ছিল বেশি। বর্তমান বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় এবং উত্পাদন খরচ উঠে আসায় কৃষকের চোখে-মুখে হাসির ঝিলিক।
সরজমিনে ঘুরে কৃষকদের সংগে কথা বলে জানা যায়, এ বছর জমিতে তারা পাইজাম, বাইট্টা পাইজাম, বিনা ৭, হাইব্রিড, ব্রিধান-৭২, ব্রি ধান-৪১, ব্রিধান-৪৯, ব্রিধান-৫২, বিআর-১১, বিআর-১০, বিআর-২২, বিআর-২৩, পাইজাম, বিনি, কালোজিরা জাতের ধান রোপণ করেছেন। অনেক কৃষক উপজেলার মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সারিবদ্ধভাবে ধান রোপণ করেছেন।
উপজেলার সোনাকানিয়ার জমাদার পাড়ার আমনচাষি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ আইয়ুব জমিদার, কালামিয়া পাড়ার কৃষক আবদুল কাদের, নূরুল ইসলাম জানান, তাদের রোপিত আমন ধানের বেশিরভাগ ধান পেকে গেছে। হাতিয়ারকূলের কৃষক মোহাম্মদ ইউনুছ, আবদুল মতলব,আবুল হাশেম জানান, এ বছর মাঠে রোগ-বালাই কম ও ফলন হয়েছে বেশি।
সাতকানিয়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও এস এম জহির জানান, বর্তমানে সম্পূর্ণ মাঠের ধান এখনও পুরোপুরি পাকেনি। যে জমিগুলো একটু উপরস্তরে এবং আগে রোপণ করা হয়েছে ওইসকল জমির সব ধান পেকেছে। যে সমস্ত কৃষক উপজেলার মাঠ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমন ধান রোপণ করেছেন তাদের ফলন আশা করি চাহিদার চেয়ে আরও কয়েকগুণ বেশি হবে। ধানের বাজারমূল্য বেশি হওয়ার কথা স্বীকার করে তারা জানান, আগের চেয়ে বর্তমানে ধানের বাজারদর অনেক বেশি।
সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক