এলনিউজ২৪ডটকম : টানা বর্ষণে লোহাগাড়ায় বিভিন্ন নদ-নদীতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে এলাকাবাসী দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট মেম্বার- চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খাঁন বন্য দুর্গত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায়।
জানা গেছে, পদুয়া ইউনিয়নের হাঙ্গর খালের ভাঙনে শাহ পাড়া এলাকায় ৪টি বসতঘর খালের গর্ভে বিলীন হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আবু তৈয়ব, মোঃ হাসান, ছরওয়ার কামাল ও আনোয়ারা বেগমের বসতঘর। এছাড়াও আরো অর্ধশতাধিক বসতঘর খালের গর্ভে ভেঙ্গে পড়ার আশংকায় রয়েছে গৃহস্থরা। এছাড়াও জঙ্গল পদুয়া এলাকায় মুফতি আবুল হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন ব্রীজটি যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ার আশংকা প্রকাশ করছে স্থানীয় মেম্বার শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হাঙ্গর খালের এ ব্রীজ ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানান।

চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন জানিয়েছেন, চুনতি রহমানিয়া পাড়ার মানুষ জলবন্দী হয়ে পড়েছে। চুনতি এলাকায় হাতিয়া খাল বিভিন্নস্থানে ভাঙছে। এলাকার খয়রাতি খালে একটি ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। সাতগড় ছড়াও ভারী বর্ষণ ও উজানের পানির ঢলে ভাঙছে বলে জানিয়েছেন। চুনতি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার সৈয়দ মোক্তার আহমদ ওরফে লেদু মেম্বার জানিয়েছেন, অতি বর্ষণে চুনতি ডাকবাংলো সড়কে হাতিয়া খালের ব্রীজ হতে সাতগড় ছড়া পর্যন্ত, সাতগড় পূর্বপাড়া রোড ও মাষ্টার পাড়া রোড ইটাচ্ছিদ সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাইজ বিলা রোডের (কাঁচা সড়ক) ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাতগড় ছড়া খালের পাড়, সাতগড় ছড়া মরাডলুর খাল ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া কৃষকদের আমন ফসলের চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব মিয়া জানিয়েছেন, এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত ডলু খাল, হাতিয়া ও কুলপাগলি খাল শুধু ভাঙছে। এতে অনেক ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে জানান তিনি। আধুনগর এলাকার নিুাঞ্চলের মানুষ জলবন্দী হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া সীমানার আমিরাবাদ এলাকায় ডলু, টংকাবতী ও বাইরখালের সংযোগস্থলে ভাঙছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, পার্বত্য অঞ্চল থেকে নেমে আসা টংকাবতী খাল বিভিন্নস্থানে ভাঙছে। বিলীন হচ্ছে মানুষের চলাচল পথ ও বসতভিটা।
একইভাবে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের নিুাঞ্চলের মানুষ অধিক পানির কারণে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। পুটিবিলা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইউনুছ জানিয়েছেন, ডলু খাল ও সরই খালের বিভিন্নস্থানে ভাঙছে। কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান এ ওয়াহেদ জানিয়েছেন, টংকাবতী খালের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে মানুষের চলাচলের রাস্তা ও বসতভিটা।
সূত্র : সাংবাদিক নুরুল ইসলাম