নিউজ ডেক্স : টানা কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণের ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের কিছু কিছু এলাকায় বিশালাকৃতির গর্ত হয়ে গেছে। নি¤œমানের সংস্কারকাজ, সড়ক দিয়ে লবণ পরিবহন ও প্রতিনিয়ত ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে যানবাহন চলাচল করার কারণে মহাসড়কের এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
প্রতি বছর মহাসড়কটির বিভিন্ন অংশে সংস্কারকাজ করা হয়। কিন্তু সংস্কারকাজে ব্যাপক অনিয়মের কারণে কিছু দিনের মধ্যেই সংস্কার করা স্থানগুলো আবার ভেঙেচুরে একাকার হয়ে যায়। এ দিকে সড়ক সংস্কার বাবদ সরকারের প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার অপচয় হচ্ছে। অন্য দিকে সড়কে চলাচলরত যানবাহন চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এ ছাড়া যানবাহন মালিকেরাও ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন এ মহাসড়কের মইজ্জার টেক, শিকলবাহা, শান্তিরহাট, মনশার টেক, বাদামতল, নিমতল, শাহগদি মার্কেট, আমজুর হাট, পটিয়ার চক্রশালা, চন্দনাইশের রোশনা হাট, বাগিচাহাট, সাতকানিয়ার পাঠানীপুল, মৌলভির দোকান, কেরানীহাট, রাস্তারমাথা, হাসমত আলীর দোকান, শিশুতলা, মিঠা দীঘির পাড়, সিকদার দোকান, নয়াখালের মুখ, লোহাগাড়া অংশের ঠাকুর দীঘির পাড়, পদুয়া তেওয়ারী হাট, রাজঘাটা, আধুনগর, চুনতি, আজিজনগর, আমিরাবাদ মোটর স্টেশন এলাকাসহ পুরো মহাসড়কজুড়েই অসংখ্যা ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নি¤œমানের সংস্কার কাজের ফলে মহাসড়কের এই বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন পরিবহনের চালকেরা জানান, এ মহাসড়কজুড়েই ইট, পাথর, বিটুমিন ও খোয়া ওঠে গিয়ে ছোট-বড় হাজার হাজার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তাদের পক্ষে এই মহাসড়কে গাড়ি চালানো খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে আর গাড়িরও অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
এ পথে প্রতিনিয়ত যাতায়াতকারী দেলুয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আবছার, শাহাদাত ও ফেরদৌস আলম জানান, বর্তমানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের এমন নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে মহাসড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে এ সড়কে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্য দিকে গাড়িতে করে গন্তব্যে পৌঁছতে অতিরিক্ত কয়েক ঘণ্টা সময় অপচয় হচ্ছে যাত্রীসাধারণের। সারা দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এই মহাসড়কটি বর্তমনে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচলরত যানবাহন যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অথচ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি।
-দৈনিক নয়াদিগন্ত