এলনিউজ২৪ডটকম: আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব আওলাদে রাসূল (সা.) মাওলানা সাইয়্যিদ আনোয়ার হোছাইন তাহের জাবেরী আল মাদানী বলেন, গত ১৫ বছর যাবত আমরা কথা বলতে পারি নাই। মসজিদে কি খুতবা দিব সেটাও তাদের জানাতে হতো। বেয়াদবির সীমা থাকা উচিত ছিল। সরকারি কর্মকর্তা হয়ে একজন আলেমকে নির্দেশনা দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়নি। আমরা দুর্বল নই। আমাদের ইতিহাস রয়েছে। আমি আকন্দা হতে পারি, কিন্তু আমার বংশধারা আমার রাসুল (স.) পর্যন্ত। রাসুল পাক (স.) জীবনে কোনদিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে নাই। ওনার আওলাদ হযরত হাসান ও হুসাইন (র.) জীবন দিয়েছে, কিন্তু কোন জালেমের কাছে মাথা নত করে নাই। রাসুলের চরিত্রের গভীরতা কতো ছিল, সেটা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। আমার রাসুলের বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়া হয়েছে, কিন্তু বাংলার জমিনে ১৮ কোটি মুসলমান থাকার পরও এর বিচার পাইনি।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চুনতি সীরত মাঠে ১৯ দিন ব্যাপী সীরতুন্নবী (স.) মাহফিলের উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলে।
তিনি আরো বলেন, এই সীরত ময়দান নিয়েও অনেক বাড়াবাড়ি হয়েছে। গত ১৫ বছর যাবত আমরা পাসপোর্ট পাইনি সীরত মাহফিলে আসার। এবার পাসপোর্টের সাথে ভিসাও পেয়েছি। আমরা এবার কথা বলার সুযোগ পেয়েছিল। কোরআন, হাদিস ও আলেম ওলামাদের সাথে বেয়াদবি করলে কি পরিণতি হয় তা আমরা কিছুদিন আগে নিদর্শন দেখেছি। রাসুলের সীরত শুনে বাড়িতে চলে গেলে হবে না। আজ এখন থেকে ওয়াদা করতে হবে এই দেশ কোরআন আর হাদিস মতে চলবে। যেই দেশে শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান, সেই দেশ কারো মনগড়া নিয়মনীতি অনুযায়ী চলতে পারে না।
মাহফিলের মোতাওয়াল্লী কমিটির সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত ইসলামির আমীর সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন মোতওয়াল্লী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা মাওলানা আব্দুল মালেক মুহাম্মদ ইবনে দিনার নাজাত, আবু তাহের, মাওলানা কাজী নাছির উদ্দিন, এইচ.এম. মাহাবুবুল হক, উপজেলা জামায়াতের আমীর আসাদুল্লাহ ইসলামিবাদী, এম এ শুক্কর, কাজী আরীফুল ইসলাম, যাহেদুর রহমান ও সাইফুউদ্দিন মোহাম্মদ তারেকসহ জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দ।