নিউজ ডেক্স: কক্সবাজার সৈকতে আবারও ভেসে এসেছে একটি মৃত ডলফিন। ডলফিনটির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট। সংরক্ষণ করা হবে কঙ্কালও।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইনানী সৈকতে মৃত এই ডলফিনটি ভেসে আসে। পরে জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে এটিকে উদ্ধার করে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইনানী সৈকতে ভেসে আসা মৃত ডলফিনটি ইন্দোপ্যাসিফিক হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির। এমন প্রজাতির ডলফিন এবারই প্রথম এসেছে।
ভবিষ্যতে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য হ্যাম্পব্যাকের কঙ্কাল সংরক্ষণ করা হবে। উদ্ধার করা ইন্দোপ্যাসিফিক হ্যাম্পব্যাকের ওজন ২৪০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ১০ ইঞ্চি।
তিনি বলেন, এর আগে সৈকতে ভেসে আসা ইরাবতী ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি। এটির ওজন ৭০ কেজি। দুটির নমুনা সংগ্রহের পর সৈকতের বালিয়াড়িতে মাটিচাপা দেওয়া হবে। এরপর এক থেকে দেড় বছর পর দুটির কঙ্কাল উত্তোলন করে সংরক্ষণ করা হবে।
অন্যদিকে প্রাণীদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।
তিনি বলেন, নানা কারণে সাগরে এসব প্রাণীর মৃত্যু ঘটতে পারে। তবে প্রাণীগুলোর আবাসস্থলে কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়েছে কি না, তা অনুসন্ধানে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করে সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এর আগে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি বিপন্ন স্তন্যপায়ী পরপইসের মৃতদেহ ভেসে আসে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হিমছড়ি সৈকতে একটি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন ভেসে এসেছিল।
উল্লেখ্য, বোরির হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত কক্সবাজার শহর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়া সৈকতে অন্তত ২০টি মৃত সামুদ্রিক কচ্ছপ ভেসে এসেছে।