নিউজ ডেক্স : দুই নেতাকে দিয়ে পা টেপানোর ছবি ভাইরাল হওয়ার পর, এবার নিজ গ্রুপের এক নেতাকে ‘কোপানো’-সংক্রান্ত অডিও ফাঁস হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের। এ ঘটনার পর রুবেলের কক্ষ ভাঙচুর করেছেন তাঁর নিজ গ্রুপের কর্মীরা।
গতকাল বুধবার রাতে এমন একটি অডিও ফাঁস হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষে ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ তাঁর নিজের গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১ জুন ছাত্রলীগের সিএফসি ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উপদপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রমজান হোসাইনকে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়। রমজান শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বাধীন সিএফসি গ্রুপের অনুসারী।
ছড়িয়ে পড়া অডিওতে রেজাউল হক রুবেলকে বলতে শোনা যায়, ‘তাকে (রমজান) বিভিন্ন মানুষ আয়ত্তে নিয়ে নিছে। নিজের… (গালি) নিজেই মারি ফেলবে। রমজাইন্নারে মারতে হইছে আমার! আমারে চিটাগাং ভার্সিটির সবাই ভয় পাইরে ভাই, ভয় পায়। তুই শুধু আমার পাশে থাক। বাকি কাজ অটো হয়ে যাবে। রমজাইন্নারে কোপ পড়ছে না? অনেক লাফাইছে না? লাফাইছে রমজান। ওই হিসেবে পড়ি গেছে। সবকিছু মুখে বলতে হবে কেন? চুপ করে থাক না। আমারে দাঁড়াইতে দে। দেখবি অনেকে হিসাবের মধ্যে হয় পায়ে এসে পড়বে, নয়তো নিজের মতো নিজের হিসাব মিলাই নিবে।’
অডিও ফাঁস হওয়ার পরপর রাতেই তাঁকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা ‘রুবেল নিপাত যাক, চবি ছাত্রলীগ মুক্তি পাক’, ‘অবৈধ সভাপতি মানি না, মানব না’, ‘নৈতিকতাহীন সভাপতি, মানি না মানব না’ স্লোগান দেন। পরে রুবেলের কক্ষের জানালার কাঁচ, তালা ভাঙচুর করা হয়।
এসব বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘ছাত্রলীগের কতিপয় বিপথগামী ছেলেপেলে স্বাভাবিক কিছু কথাবার্তাকে কেটে কেটে সুপার এডিট করে, এটা বানিয়েছে। এরা ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস ও কক্ষ ভাঙচুরের সাথেও জড়িত। সংখ্যায় এরা মাত্র পাঁচ-ছয়জন।’
এর আগে মার্চ মাসে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নেতাকে দিয়ে পা টিপিয়ে নেওয়ার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, হাফ প্যান্ট পরে বিছানায় শুয়ে মোবাইল ফোন টিপছেন রেজাউল হক রুবেল। আর পাশে বসে সভাপতির পা টিপছেন দুই নেতা। -আজাদী অনলাইন