নিউজ ডেক্স : একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথমধাপে ১৩ লক্ষাধিক আবেদনকারীর মধ্যে ভর্তির জন্য ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪৮ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। রোববার রাত ১২টার পর সকল শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন বলেন, প্রথম তালিকায় যাদের নাম নেই তাদেরকে ১৩ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পরে ভর্তির জন্য আরেক দফা তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ সময়ের মধ্যে চান্স না পাওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দক্রম সংশোধন করতে পারবে। যারা ভর্তির আবেদনই করেনি তারাও আবেদন করতে পারবে।
জানা যায়, শিক্ষার্থীরা আবেদনে যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছেন সেখানেই এসএমএস পাঠিয়ে সিকিউরিটি কোডসহ জানিয়ে দেয়া হয়েছে ফল। কলেজ ভর্তির সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটেও (www.xiclassadmission.gov.bd) পাওয়া যায় ভর্তির ফল। প্রথম ফলে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ৬ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ১৮৫ টাকা ফি’র বিনিময়ে কলেজ নিশ্চয়ন করতে হবে।
গত ৯ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত চলে অনলাইন ও মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া। ৩০ মে পুনঃনিরীক্ষণে ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীরা ৩০ ও ৩১ তারিখ ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পান। ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন মোট ১৩ লাখ ৯ হাজার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থী।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন জানিয়েছেন, ৬ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ১৮৫ টাকা ফি’র বিনিময়ে কলেজ নিশ্চয়ন করতে হবে। যারা প্রথম ফলে কলেজ পাবেন তাদের অবশ্যই কলেজে ভর্তির জন্য নিশ্চয়ন করতে হবে। এরপর মাইগ্রেশনের আবেদন এবং নতুন আবেদন করা যাবে ৯ থেকে ১০ জুন। ১৩ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল দেয়া হবে। তাদের ১৪ ও ১৫ জুন কলেজ নিশ্চয়ন করতে হবে। এরপর আবার মাইগ্রেশন ও নতুন আবেদন করা যাবে ১৬ ও ১৭ জুন। তৃতীয় পর্যায়ে ফল প্রকাশ করা হবে ১৮ জুন। এদিকে আসন্ন ঈদের ঠিক আগ মুুহূর্তে ভর্তির তারিখ নির্ধারণ করায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আপত্তি তুলেছেন। তারা দ্রুত নতুন তারিখ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন।
তবে আশফাকুস সালেহীন এ বিষয়ে বলেছেন, দেখা যাক এখনোতো সময় আছে। তবে ঈদের আগেই যে কেবল ভর্তি তাতো নয়। ঈদের পরেও ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে।
কলেজ পরিদর্শক প্রথম মেধা তালিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রথমবার কেউ কলেজ না পেলে কিংবা আবেদন না করলেও তাদের জন্য পরবর্তীতে সুযোগ থাকবে। তাই উদ্বেগের কিছু নেই। তবে প্রথম তালিকায় কলেজ যারা পাবে তাদের অবশ্যই কোন কলেজে বুকিং বা নিশ্চয়ন করতে হবে। অন্যথায় সে সুযোগ হারাবে। এজন্য ১৮৫ টাকা টেলিটক, শিওর ক্যাশ ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের রকেটের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণি আছে। এসব কলেজে মোট আসন আছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার। এর মধ্যে ভালো মানের ২০-২২টি কলেজে আসন ২৫ হাজার। বিপরীত দিকে ঢাকা বোর্ডেই এবার পাস করেছে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী।