প্রাণ নিয়ে পালাই
প্রাণ নিয়ে পালাই
পালাতে প্রাণ লাগে, বাঁচতেও
দৃষ্টির সম্মুখে অনিরুদ্ধ উদ্যান, ঝাঁঝালো সূর্যালয়
বাতাসে গুপ্ত আততায়ী ঘূর্ণির ফুঁৎকারে বিমূর্ত মেঘালয়
তাড়ায় অনির্ণীত পথে,
তাড়াতেই থাকে; শনির রাহু স্রোত
পালিয়ে বেড়াই…
পেছনে ফেলে আসি প্রান্তিক আশ্রয়, রুটির দোকান
বুড়ো বটগাছ…পদছায়া
পালানো হয়ে উঠে অনিবার্য!পথের কল্লোলে হারানো দিনের গান
প্রাণের আকুতি, প্রগাঢ় চুম্বনে
বিড়ির সুখ টানের মতো আক্ষেপ জেগে থাকে-
থাকে অমীমাংসিত হিসেব, লাভ লোকসান…
পালানোর জন্য সব দিয়ে সর্বস্বান্ত হই
শূন্যে-বিশূন্যে
মৃগাক্ষীর পরাস্ত ধ্যানে, জ্বলন্ত আগুনে, নিশান্ত ক্ষরণে
সব ভুলে পালাই প্রাণ নিয়ে, কিন্তু লুকোতে পারিনা
লুকোতে আড়াল লাগে-
আঁচলের আড়াল, বগলের আগল, আর লাগে প্রাণ!
কলঙ্কিত শশী
ঘুমন্ত পৃথিবী
রক্তের স্রোতে ভেসে যায় একান্ত দ্বীপ
অনন্তের পথে… সীমান্তের ওপারে
হেসে মরে পাষাণপুরি… জ্বলন্ত আগুনের জিভ।
ক্ষুধার্ত নদী
স্পর্ধিত হুংকারে চলে ভাঙনের তাণ্ডব
বুকের চাতালে নিত্য হাহাকার, আত্মার গহ্বরে
ডুবে মরে স্বপ্নের কারিগর… সরোদ শরীফ।
ক্রান্ত শর্বরী
পরাক্রান্ত মৃগ নয়নে বাড়ে ভার- অশ্রু লগন
পল্লবিত বৃক্ষ জানে- অন্তস্থ বনে
কিসের আশায় ছুটছে খরস্রোতা… শশাঙ্ক পাণে।
খবর
খবর গুলো আর খবরে সীমাবদ্ধ নয়
ঘটনার প্রবাহে গুপ্তচর হয়ে উঠে পাঠক
কিছু অনুসন্ধানী চোখ তির্যক চাহনি
বাকি টা আন্দাজ কাহিনী…
উৎসুক স্রোতা সে সব গিলে, গিলতেই হয়
কেলিয়ে উঠা গল্পের রঙ, রস
গল্পের চাকচিক্যে কখন যে খবর বেখবর হয়ে যায়
তার ইয়ত্তা নাই…
ফলে, ধর্ষকে বিচার চেয়ে যে মানব-বন্ধন
ধর্ষিতার ক্রন্দন সে পর্যন্ত আর পৌঁছে না;
বরং রুষ্ট পুষ্ট গল্প
লাল অক্ষরের হেড লাইন
ইবলিসের হাত কে উদ্যত করে তোলে
পরবর্তী খবর জন্ম দিতে…।