ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটূক্তি, ডেপুটি জেলার সাময়িক বরখাস্ত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটূক্তি, ডেপুটি জেলার সাময়িক বরখাস্ত

ডলি আক্তার ওরফে মেহেজাবিন খান

ডলি আক্তার ওরফে মেহেজাবিন খান

নিউজ ডেক্স : গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। সেই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাতক্ষীরার ডেপুটি জেলার ডলি আক্তার ওরফে মেহেজাবিন খান। ওই অনুষ্ঠানের ছবি ফেসবুকে দিয়ে স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন। সেই স্ট্যাটাসে অন্য এক নারী মন্ত্রী বানান ভুল লিখেছে বলায় ক্ষেপে গিয়ে মন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করে বসেন।

আর সেই অপরাধে গতকাল তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারা অধিদপ্তর। তাকে সাতক্ষিরা থেকে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করার বিষয়ে গতকাল রাতে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত আইজি প্রিজন্স কর্নেল আবরার হোসেন।

সূত্র জানায়, গত ১  সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের একটি অনুষ্ঠানে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেন ডলি। ধারাভাষ্য দেওয়ার মুহূর্তে নিজের সেলফি তুলে রাখেন ডলি আক্তার। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা ৪৯ মিনিটে তিনি তার ব্যবহৃত জলি মেহেজাবিন খান নামের ফেসবুকে সেই ছবিটি পোস্ট করেন। সেখানে মন্ত্রী বানান ভুল হওয়ায় তা শোধরানোর জন্য তার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড অনুরোধ জানান। তার জবাব দিতে গিয়ে ডেপুটি জেলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন।

পরে বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল রবিবার বিকালে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। সেটিরও তদন্ত চলছে।

এক কারা কর্মকর্তা জানান, খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ডলি আক্তারের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ডলি আক্তার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে কারা অধিদপ্তরে চাকরি নেন। ডলি জানিয়েছেন, তিনি ইচ্ছে করে এটা করেননি। এক ফেসবুক ফ্রেন্ড তাকে উসকে দিয়ে কথা বলার কারণে তিনি নিজের অজান্তে লিখে ফেলেছেন। এ কারণে ডলি ক্ষমাও চেয়েছেন কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে।

দেখা যায় ফেসবুকে মন্ত্রীকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর শারমিন ববি নামের একজন মন্তব্য করেন, ‘আফা মন্ত্রী বানানটা একটু ঠিক করে দেন, না হলে কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী মাইন্ড খাইতে পারে।’ এ কমেন্টের প্রতিউত্তরে ডলি আক্তার ওরফে জলি মেহেজাবিন খান লিখেছেন, ‘আমি চাটুকারিতা একদম পছন্দ করি না আফা (আপা), চাকরি করি জেলখানায়, এরকম বহু নামি-দামি ব্র্যান্ড ভেতরে আসলে বিলাই (বিড়াল) হয়ে যায়…যাই হোক, স্পেলিং মিসটেক হয়েছে এবং সেটা অনিচ্ছাকৃত।’ তার উত্তরে শারমিন ববি লিখেছেন, তোকেতো ভালো করেই চিনি, চাটুকারিতা যে করিস না সেটাও জানি, জাস্ট বানান ভুলটা চোখে পড়ল তাই তোকে জানালাম।’ -কালের কণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!