ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সিনহা হত্যা মামলায় ২য় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন

সিনহা হত্যা মামলায় ২য় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ঈসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। দ্বিতীয় দিনও মামলার ২য় স্বাক্ষী সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান রেখে রাত আটটায় আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

আগামীকাল বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে আবার সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ ও তারপর আসামীপক্ষের আইনজীবীদের জেরা চলবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফরিদুল আলম।

আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রথমে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসকে আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকতসহ তিন আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জেরা শুরু করেন। এই জেরা চলে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। এরপর ২য় স্বাক্ষী সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা জবানবন্দী রেকর্ড করার পর রাত আটটার দিতে আদালত মূলতবি করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, দ্বিতীয় দিন শারমিন শাহরিয়ারের অসমাপ্ত জেরা সম্পন্ন করে অপর পাঁচ স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২য় স্বাক্ষী সিফাতের জবানবন্দি রেকর্ড আংশিক সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। আগামীকাল বুধবার আসামীদের পক্ষে সিফাতকে জেরা করার পর অন্যান্য স্বাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা হবে।

এদিকে, সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ সহ ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্বভার পায় র‌্যাব-১৫ ।

হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে স্বাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রূল ইসলাম।

এর মধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, কন্সটেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন আসামী কারাগারে রয়েছে।

কারাগারে আটক ১৫ আসামি হলো বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কন্সটেবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কন্সটেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কন্সটেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কন্সটেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার স্বাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। আজাদী অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!