ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | শুধুমাত্র আইন দিয়ে দুর্নীতি দমন করা যায় না : আইনমন্ত্রী

শুধুমাত্র আইন দিয়ে দুর্নীতি দমন করা যায় না : আইনমন্ত্রী

1602005_pic

নিউজ ডেক্স : আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা কম হয়নি, যথার্থই হয়েছে। খালেদা জিয়া ইয়াতিমের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছেন। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আড়াই টাকার দুর্নীতিও বড় দুর্নীতি। তার থেকেও বড় কথা হলো এটা প্রমাণ হয়েছে যে, দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী ব্যক্তিও আইনেরর উর্ধ্বে নয়।

আজ রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলা‌দেশ প্রগ‌তি কলা‌মিস্ট ফোরামের উ‌দ্যো‌গে ‘দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ও নেতৃত্বের সাফল্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ ‌তি‌নি কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, শুধু আইন দিয়ে দুর্নীতি দমন করা যায় না। দুর্নীতি করলে আইন দিয়ে শাস্তি দেওয়া যায়। তার মানে এই দাঁড়ায় দুর্নীতি আগে করতে হবে তারপর আইনের প্রয়োগ। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ডুবে থাকা দুর্নীতি দূর করতে শিক্ষা ব্যবস্থায় সিলেবাস পরিবর্তন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সব দুর্নীতির মূলে হাত দিয়েছি। যে কারণে স্বঘোষিত কিছু নেতা যাদের জনগণের কাছে যাওয়ার সুযোগ নাই, ভোটে জামানত হারাবেন। তারাই কিনা বলেন, এই সরকারের অধীনে দুর্নীতি দমন সম্ভব না। সত্যি বলতে তারাই দুর্নীতির মধ্যে ডুবে আছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, সবকিছু ডিজিটাল হলে দুর্নীতি অচিরেই কমে যাবে তবে তার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে, যা শেখ হাসিনা সরকারের রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আদর্শলিপিতে ‘সদা সত্য কথা বলিবা’ আমরা ছোট বেলায় শিখেছি, এটা কিন্তু আমাদের মাইন্ড সেট পরিবর্তন করে দেয়। আমাদের শিশুদের যদি এইসব ভ্যালুস সম্পর্কে পড়ানো হয়, তাহলে তারা বড় হয়ে দুর্নীতি গ্রহণ করবে না। পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে এসব সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করব।

এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, দুর্নীতি ও রাজনীতিকে একসঙ্গে মেলাবার সুযোগ নেই। রাজনীতিকে রাজনীতির মত থাকতে দিয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, আমাদের খাওয়ার অভ্যাসটা বেশিই। আত্মসাৎ করা, ঘুষ খাওয়া, সরকারি সম্পত্তি বেচে খাওয়া।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রশিদ আসকারী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায় এবং বিশিষ্ট কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!