Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়ায় হাসপাতালসহ এক ভবন ও ৪ পরিবার লকডাউন

লোহাগাড়ায় হাসপাতালসহ এক ভবন ও ৪ পরিবার লকডাউন

এলনিউজ২৪ডটকম : সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ইছামতি আলীনগর এলাকায় সিরাজুল ইসলাম নামে মৃত ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর লোহাগাড়ায় হাসপাতালসহ এক ভবন ও ৪ পরিবার লকডাউন করেছে প্রশাসন।

রোববার (১২ এপ্রিল) রাত ১টায় উপজেলা সদরের বটতলী মোটর ষ্টেশনাস্থ লোহাগাড়া সিটি হাসপাতাল লিমিটেড ও মোস্তফা সিটি এবং পদুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পদুয়ায় এক বাড়ির ৪ পরিবারকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌছিফ আহমদ লকডাউন করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেন। এ সময় সাথে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকের হোসাইন মাহমুদ।

পুলিশ জানায়, সাতকানিয়ায় করোনা আক্রান্তে মারা যাওয়া বৃদ্ধের শরীর চেকআপ করার জন্য কয়েকদিন পূর্বে লোহাগাড়া সিটি হাসপাতালের সুপারভাইজার নূর মোহাম্মদ তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। এছাড়া নগরীতে ওই বৃদ্ধের ছেলের দোকানে চাকুরী করতো জঙ্গল পদুয়ার মো. হাসান। হাসপাতালে কর্মরতরা ও ৪ পরিবারের সদস্যরা সবাই লকডাউনে থাকবেন। এছাড়া এলাকাবাসী, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবসহ যারা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরকে খতিয়ে বের করার প্রচেষ্টা চলছে।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ জানান, সাতকানিয়ায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শ এসেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে লোহাগাড়া সিটি হাসপাতাল লিমিটেড ও মোস্তফা সিটি এবং পদুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পদুয়ায় ৪ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। তারা আগামী ১৫-২০ দিন লকডাউনে থাকবেন। এখনো সবাই সুস্থ আছেন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে করোনার ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌছিফ আহমদ জানান, শনিবার সাতকানিয়ার এক মৃত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন সংবাদ পাওয়ার পর তার সাথে লোহাগাড়ার যারা সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর লোহাগাড়া সিটি হাসপাতালসহ মোস্তফা সিটি ভবন ও জঙ্গল পদুয়ার ৪ পরিবারকে লকডাউন করা হয়। সিটি হাসপাতালের সুপারভাইজার নূর মোহাম্মদ কিছুদিন পূর্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ব্যক্তির শরীর চেকআপ করতে গিয়েছিলেন। এছাড়া জঙ্গল পদুয়ার মো. হাসান করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ব্যক্তির ছেলের দোকানে চাকুরী করতেন। ফলে তার সংস্পর্শে থাকা লোকজনকে চিহ্নিত করে ৪টি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!