এলনিউজ২৪ডটকম : গ্রীষ্মের খরতাপ আর তীব্র দাবদাহে লোহাগাড়াবাসীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে রোজা রাখা মুসল্লিরা। একই সাথে শ্রমজীবী মানুষেরাও কষ্টে পড়েছেন। ছাতা ছাড়া বাইরে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এদিকে হাসপাতালগুলোতে দিন দিন বাড়ছে গরমে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
জানা গেছে, গত তিন দিনের দাবদাহে লোহাগাড়ার সব বয়সী মানুষের নাভিঃশ্বাস শুরু হয়েছে। তীব্র গরমে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষর জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এবার বৈশাখে তেমন গরমের দেখা না মিললেও জৈষ্ঠের শেষ দিকে সূর্যের খরতাপে মাত্রাতিরিক্ত গরম শুরু হয়। বর্তমানে লোহাগাড়া উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে অবস্থান করছে। তীব্র দাবদাহে দিনের বেলায় বটতলী শহরের রাস্তাঘাট ও হাঁট-বাজারে মানুষের চলাচল কমে গেছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। খুব প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছেন, তারা ছাতা ব্যবহার করছেন। মাত্রাতিরিক্ত গরমে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রমজানে রোজা রাখা মুসল্লিরা। এছাড়া শ্রমজীবী মানুষদেরও কড়া রোদের মধ্যে কষ্ট করে কাজ করতে হচ্ছে।
কলাউজান থেকে বটতলী শহরে আসা আজিজুল হক জানান, এই গরমে রোজা রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বার বার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। রোদের মধ্যে বের হলে ছাতা নিয়ে বের হতে হয়। পাকা রাস্তাগুলো এমন অবস্থা হয়েছে যে খালি পায়ে হাঁটলে পায়ে ফসকা পড়ে যাবে।
বড়হাতিয়া এলাকার বাসিন্দা আমেনা বেগম জানান, গ্রীষ্মকালেও আগে এতোটা গরম দেখা যায়নি। দিনের বেলায় ছাতা ছাড়া বের হওয়া যায় না। রাতের বেলাতেও গরমের কারণে ঘুমাতে পারি না। তার মধ্যে আরও ঘন ঘন লোডসেডিং হচ্ছে।
রিকশাচালক আবদুল জলিল জানান, এই গরমে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। একটু বাতাস নাই। সূর্যের তাপ সরাসরি মাথায় লাগছে। মনে হচ্ছে পুরো শরীর জ্বলে যাচ্ছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার লোহাগাড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লোহাগাড়া সদরের মা-মনি হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মনজুরুল আলম জানান, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও গরমের কারণে হাসপাতালে জ্বর ও ডায়েরিয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করেছে। এই গরমে সতর্ক থাকতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে এবং বাইরে বের হলে ছাতা নিয়ে বের হতে হবে। এছাড়া কেউ খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।