ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়ায় গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু, হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালালো স্বামী

লোহাগাড়ায় গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু, হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালালো স্বামী

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার কলাউজানে মিনু আরা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৫টায় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাংলাবাজার মিয়াজি পাড়ায় নিজ বসতঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন স্বামী।

নিহত মিনু আরা বেগম ওই এলাকার আবদুল জব্বারের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী। তিনি পার্বত্য লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের মেইচ্ছ্যা ঝিরি এলাকার আবুল হাশেমের কন্যা।

নিহতের মা নুরুন্নিছা বেগম জানান, প্রায় ৬ বছর পূর্বে মৃত আবুল কাশেমের পুত্র আবদুল জব্বারের সাথে আবুল হাশেমের কন্যা মিনু আরা বেগমের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে নানা কারণে শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছিল। ঘটনারদিন স্বামী আবদুল জব্বার মুঠোফোনে জানায় তার মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের লাশ উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। তারা দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের মৃত দেহ দেখতে পান। এ সময় মেয়ের শ্বশুর বাড়ির কাউকে হাসপাতালে দেখতে পাননি। তার মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন মিলে গলাটিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। তিনি তার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার দাবী করেন।

স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য বকুল আক্তার জানান, নিহত মিনু আরা বেগমের পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় প্রায় ২ মাস বাপের বাড়িতে ছিলেন ওই গৃহবধু। পরে স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশের মাধ্যমে শ্বশুর বাড়িতে চলে আসেন। ঘটনারদিন বসতঘরে নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধু মিনু আরা বেগম। পরিবারের লোকজন তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিলা আক্তার জানান, মিনু আরা বেগম নামে এক নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে হাসপাতাল থেকে মিনু আরা বেগম নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাবার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!