ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়ায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন ব্যবসায়ী

লোহাগাড়ায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন ব্যবসায়ী

এলনিউজ২৪ডটকম: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজ দোকানে চুরির ঘটনা সাজিয়ে নিজে ফেঁসে গেলেন মোহাম্মদ আলমগীর (৩৮) নামের এক ব্যবসায়ী। এমন ঘটনা ঘটেছে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি বাজারে আল-আমিন ঝাল বিতান নামের দোকানে। গত ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মোহাম্মদ আলমগীর (৩৮) চুনতি বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমকে মুঠোফোনে জানায় তার দোকান চুরি হয়েছে। এমন অভিযোগে খোরশেদ আলম বাজারের সিসিটিভি ফুটেজ সরবরাহ করেন। স্থানীয় লোকজন ও কমিটির অন্যান্য লোকজন একজনকে শনাক্ত করে।

একই দিন রাত সাড়ে ১০ টায় সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত হওয়া যুবক খানে আলম (১৮) কে বাজার কমিটির অফিসে নিয়ে আসে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। খানে আলম অকপটে স্বীকার করেন, ঝাল বিতানের মালিক মোঃ আলমগীর রাত দুই টায় তাকে দোকানের চাবি দিয়ে বলেন তার দোকানের চেয়ার টেবিল ও ক্যাশ কাউন্টার ভাংচুর করার জন্য। কথামতো সে কাজ করে। বিনিময়ে খানে আলম নগদে ৫ শ টাকা পেয়েছে, পরে আরও ১হাজার ৫ শত টাকা পাবে বলে জানায়। খানে আলম উপজেলার চুনতি ১নং ওয়ার্ডের মিরিখিল এলাকার মৃত মোহাম্মদ ইলিয়াসের পুত্র। খানে আলম বলেন, ব্যবসায়ী মো: আলমগীরের ভয়ভীতিতে এবং টাকার লোভে কাজটি করেছি।

চুনতি বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ব্যবসায়ী আলমগীরের সাথে তার চাচাদের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। গেল ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখ তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। ওই দিন থেকে দোকানটি বন্ধ রয়েছে। গেল ১৯ সেপ্টেম্বর আলমগীর আমাকে ফোন করে জানায় তার দোকান লুট কিংবা চুরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি তাকে আশ্বস্ত করি এমন ঘটনা চুনতি বাজারে হবে না। ২০ সেপ্টেম্বর সকালে সে আবার ফোনে আমাকে জানায়, আপনারা কেন কমিটিতে আছেন? আমার দোকানতো চুরি হয়ে গেছে। তার কথায় সন্দেহ হলে আমি সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে চোরকে শনাক্ত করি। পরে খানে আলমের স্বীকারোক্তিতে জানতে পারি সে নিজেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ ঘটনায় চুনতি ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অভিযুক্ত মো: আলমগীরের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মোঃ আলমগীর উপজেলার চুনতি ১ নং ওয়ার্ড মিরিখিল এলাকার মেম্বার পাড়ার মোঃ হোসেনের পুত্র ও চুনতি মিরিখিল রোডের আল-আমিন ঝাল বিতানের দোকানদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!