নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ের চার স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। অপহরণের পেছনে দুই রোহিঙ্গা জড়িত বলে তারা দাবি করেন। এ ঘটনায় রামু থানায় একটি জিডি করেছে ভিকটিমের পরিবার।
অপহৃত স্কুলছাত্ররা হলো- রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলা পাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহিদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে জাহিদুল সোনারপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রামু থানার ওসি আনোয়ারুল হোসেন জানান, ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা থানায় জিডি করেছে। তবে ঘটনাস্থল টেকনাফ হওয়ায় বিষয়টি টেকনাফ থানায় অবহিত করা হয়েছে।
রামু থানায় করা অভিযোগে বলা হয়েছে, রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীমের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাধে ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহীম চার স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যায়। মূলত ইব্রাহীম ও জাহাঙ্গীর দুজনই রোহিঙ্গা। সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছে না। পরের দিন দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। না হলে তাদের হত্যা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নং ব্লকের মোহাম্মদ কাছিমের ছেলে ও তার সহযোগী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের বাড়িও সেখানে। তারা দুজনই বাতিঘর কটেজের বয় হিসেবে কর্মরত ছিল। নিখোঁজ কায়সারের চাচা মোহাম্মদ তাহের বলেন, চারজনকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে ইব্রাহীম ও জাহাঙ্গীর নিয়ে যান। পরে তাদের মুঠোফোন ব্যবহার করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে।
খুনিয়াপালংয়ের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সোহেল বলেন, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করার পর অপহৃতদের পরিবার আমাকে বিষয়টি জানায়। পরে আমি ভিকটিমের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে হিমছড়ি পুলিশ, রামু থানা ও টেকনাফ থানায় লিখিতভাবে জানাই। টেকনাফ থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, চার স্কুলছাত্র অপহরণের ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। -ইত্তেফাক