নিউজ ডেক্স : বিমানবন্দর এলাকায় বিদেশগামী ও বিদেশ ফেরত যাত্রীদের যদি কেউ প্রতারণার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে তাহলে ০১৩০৪০৫০৬০৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।আজ বুধবার রাত আটার দিকে ‘ম্যাজিস্ট্রেটস অল এয়ারপোর্টস অফ বাংলাদেশ’ ফেসবুক পেজে এ পরামর্শ দেয়া হয়।
ফেসবুকে পেজে বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় টাকার বিনিময়ে কোনো ধরণের কাজ করে দেয়ার লোকের সাক্ষাত পেলে আমাদেরকে জানান। আপনাদের বিদেশ ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করার জন্য আইনানুগ সব চেষ্টাই আমরা করব।
‘পরোপকারীর শাস্তি!’ শিরোনামে ‘ম্যাজিস্ট্রেটস অল এয়ারপোর্টস অফ বাংলাদেশ’ ফেসবুক পেজে এক ব্যক্তির ছবি শেয়ার করে লেখা হয়, খান সাহেব বাংলাদেশ বিমানের ক্লিনার। কিন্তু টাকার বিনিময়ে এয়ারপোর্ট এলাকায় সকল মুসকিল আসানকারী! বাস্তবে না পারলেও এমন কোন সমস্যা নাই যা সমাধানের আশ্বাস এই খান সাহেব আপনাকে দিবে না। আজ সকালে কুয়েতগামী এক যাত্রী যখন চেক ইন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন ক্লিনার খান সাহেব ওই যাত্রীর কাছে গিয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তার কাছে অতিরিক্ত ওজনের লাগেজ আছে। যাত্রী ১৮০০ টাকা দক্ষিণা দিলেই খান সাহেব সব ম্যানেজ করে ফেলবেন।
নিজের কাজ ফেলে পরোপকারী (?) এই ক্লিনার সহজ সরল এক বিদেশগামী যাত্রীকে প্রতারণার ফাদে ফেলার চেষ্টা করছেন – ব্যাপারটি মোবাইল কোর্টের নজর এড়ায়নি। আইন শৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় খান সাহেবকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং যাত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীঘরে পাঠানো হয়েছে। তবে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে খান সাহেব যাতে আবারো বিমানবন্দরে ফিরে না আসতে পারেন সেজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে।