ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বিএনপির কাছে ৩০ আসন দাবি এলডিপির (তালিকাসহ)

বিএনপির কাছে ৩০ আসন দাবি এলডিপির (তালিকাসহ)

192928LDBpic

নিউজ ডেক্স : খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রমের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের হাতে অলি আহমেদ এরই মধ্যে ধরিয়ে দিয়েছেন এলডিপির ৩০ প্রার্থীর নামের তালিকা। যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে এলডিপি মনোনীত জোটপ্রার্থী হিসেবে লড়তে আগ্রহী।

সম্প্রতি কর্নেল (অব.) অলির মহাখালী ডিওএইচএস’র বাসায় যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সেখানে কর্নেল অলির সঙ্গে বৈঠক করেন ফখরুল। আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রাম, নির্বাচন ও আসন বণ্টন নিয়েও আলোচনা হয় সেখানে। ওই বৈঠক থেকেই কর্নেল অলি আগামী নির্বাচনে তার দলের সম্ভব্য ৩০ প্রার্থীর তালিকা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীকে দেন।

জোটের প্রধান সমন্বয়ককে তিনি অবহিত করেন, সারা দেশে অন্তত ১ শ’টি আসনে নির্বাচন করার জন্য তার দল এলডিপি প্রস্তুত রয়েছে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে এদের মধ্য থেকে অন্তত ৩০জনকে মনোনয়ন দিতে হবে।

ওই ত্রিশ জনের তালিকায় রয়েছেন এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম (চট্টগ্রাম-১৪), মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা-৭), প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল করিম আব্বাসী (নেত্রকোনা-১), অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মোহম্মদ খলিলুর রহমান (জয়পুরহাট -২), প্রফেসর মোহম্মদ আব্দুল্লাহ (চাঁদপুর-৩), আব্দুল গণি (মেহেরপুর-২), সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম (লক্ষ্মীপুর-১), প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. কামালউদ্দিন মোস্তফা (মাগুরা-১), ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া (ব্রাহ্মণ বাড়িয়া-৫), ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নুরুল আলম (চট্টগ্রাম-৭), উপদেষ্টা মো. আবু জাফর সিদ্দিকী (ময়মনসিংহ-২), ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নেয়ামুল বশির (চাঁদপুর-৫), যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দীন চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৬), ড. জহিরুল হক (ঝালকাঠি-১), সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক (গোপালগঞ্জ-১), সাংগঠনিক সম্পাদক এম. এ বাশার (ময়মনসিংহ-৮), শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. এয়াকুব আলী (চট্টগ্রাম-১২), ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হামিদুর রহমান (ময়মনসিংহ-৯), অ্যাডভোকেট চৌধুরী এম এ খাইরুল কবির পাঠান (নেত্রকোণা-৫), যুগ্ম মহাসচিব তমিজ উদ্দীন টিটু (ঢাকা-৫), উপদেষ্টা অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন (বগুড়া-১), সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপিকা তপতী রানী কর (ময়মনসিংহ-৬), সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল আনোয়ার (ঝালকাঠি-২), উপদেষ্টা শফিউল আলম ভূঁইয়া (চট্টগ্রাম-১), অ্যাডভোকেট মোবারক হোসেন (টাঙ্গাইল-৪), যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান (বগুড়া-৩), প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান (মাদারীপুর-২), মোস্তফা কামাল চৌধুরী (নওগাঁ-১) ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান রূপা (সুনামগঞ্জ-৩)।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি এক সঙ্গেই চালাতে হবে। আমরা তো শুধু আন্দোলনের জন্য জোটবদ্ধ হইনি। আমাদের লক্ষ্য নির্বাচনও। সুতরাং কালক্ষেপণ করলে চলবে না। নির্বাচন নিয়ে এখনই কথা বলতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!