Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ফের দুর্ভোগে প্রবাসীরা, কোয়ারেন্টাইনের টাকা জোগাড় করছেন ধার-দেনায়

ফের দুর্ভোগে প্রবাসীরা, কোয়ারেন্টাইনের টাকা জোগাড় করছেন ধার-দেনায়

নিউজ ডেক্স : দুর্ভোগ, ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না প্রবাসী কর্মীদের। করোনাকালে বিমান চলাচল ব্যহত হয়ে কর্মস্থলে ফেরা তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে। একে তো বিমানের টিকিটের বাড়তি দাম, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদেশ গিয়ে কোয়ারেন্টানে থাকার খরচের বোঝা। সবমিলিয়ে প্রায় লাখ টাকা বাড়তি লাগছে জনপ্রতি। এ টাকা অনেক প্রবাসী জোগাড় করছেন ধার-দেনা করে।

সৌদি আবর সরকার নিয়ম করেছে, করোনা টিকার দুই ডোজ নেওয়া না থাকলে সেখানে গিয়ে সাতদিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টানে থাকতে হবে। এতে ৫৫ থেকে ৬৬ হাজার টাকা টাকা লাগছে। করোনা পরীক্ষা, লকডাউনে ঢাকায় আসা যাওয়ায়ও লাগছে বাড়তি খরচ। ছুটিতে এসে আটকেপড়া কর্মীরা বলছেন- দেশে কর্মহীন বসে থেকে সঞ্চিত টাকা শেষ।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সৌদিয়া এয়ারলাইনসের কার্যালয়ের সামনে হাজারখানেক প্রবাসী লাইন ধরেন ফ্লাইটের টিকিট ও কোয়ারেন্টাইনের হোটেলে বুকিং নিশ্চিত করতে। তাদের একজন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের আবদুল মান্নান। তিনি গত ৩ নভেম্বর ছুটিতে সৌদির রিয়াদ থেকে দেশে এসেছেন রিটার্ন টিকিট নিয়ে। রোববার দিবাগত রাতে সাড়ে ১২টায় তার ফিরতি ফ্লাইট। শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তিনি কোয়ারেন্টাইনের হোটেল বুকিং করতে পারেননি।

সৌদি সরকারের কোয়ারেন্টাইন নিয়মানুযায়ী, যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এয়ারলাইনসের ভাড়া করা হোটেলে। ঢাকা থেকে রিয়াদের যাত্রীদের ৬৫ হাজার ৬০০ টাকা এবং ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন বাবদ। এ টাকার পুরোটাই যাচ্ছে কর্মীর পকেট থেকে।

২১ বছর ধরে সৌদিতে থাকা আবদুল মান্নান জানান, করোনার আগে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় দেশে যাওয়া করতেন। এবার লেগেছে ৮৫ হাজার টাকা। কোয়ারেন্টাইনের জন্য দিতে হবে আরও ৬৬ হাজার টাকা। শনিবার ভোরে তিনি কুমিল্লা থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকার সাইনবোর্ড আসেন। সেখান থেকে সিএনজি অটোরিকশায় সোনারগাঁও হোটেল। সব মিলিয়ে দুই হাজার টাকা লেগেছে। করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন আড়াই হাজার টাকায়। টিকিটের বাড়তি টাকা, কোয়ারেন্টাইনসহ সব মিলিয়ে এক লাখ ১০ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে। সাড়ে পাঁচ মাস আগে দেশে এসে বাড়ি করার কাজ করেন তিনি। তাতে সব সঞ্চয় শেষ। তিনজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে কোয়ারেন্টাইনের টাকা জোগাড় করেছেন।

বেশি সঙ্কটে পড়েছেন নতুন কর্মীরা। পুরনো কর্মীরা দেশে এসেছেন রিটার্ন টিকিট নিয়ে। তাদের টিকিটের জন্য নতুন করে টাকা দিতে হচ্ছে না। কিন্তু নতুন কর্মীদের ওয়ানওয়ে টিকিটে লাখ টাকা পর্যন্ত লাগছে। এমন একজন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মো. রুবেল। তিনি সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের ২৩ মে দিবাগত রাতের ফ্লাইটের টিকিট পেয়েছেন। ঢাকা-রিয়াদের ওয়ানওয়ে টিকিটের জন্য লেগেছে ৮৫ হাজার টাকা। কোয়ারেন্টাইনের জন্য লাগছে আরও ৬৬ হাজার। প্রায় সোয়া লাখ টাকার মতো বাড়তি লাগছে। রুবেল চারদিন ধরে ঢাকায় পড়ে আছেন ফ্লাইট ও কোয়ারেন্টাইনের হোটেল বুকিং নিশ্চিত করতে। তিনি বলেছেন, সাড়ে তিন লাখ টাকায় তার যাওয়ার কথা ছিল। এখন তা পাঁচ লাখ ছুঁই ছুঁই। সমকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!