Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | নুসরাত হত্যাকাণ্ড : পুলিশকে অভিযুক্ত না করায় ফখরুলের ক্ষোভ

নুসরাত হত্যাকাণ্ড : পুলিশকে অভিযুক্ত না করায় ফখরুলের ক্ষোভ

nusrat-fakrul-20191024182829

নিউজ ডেক্স : নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও ওই ঘটনা কেন্দ্রীয় মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন কারাগারে রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত আসামিদের ফাঁসি হলেও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে ঢাকার হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন মির্জা ফখরুল। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার পুলিশের ওপর নির্ভরশীল। নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায়ে পুলিশ সদস্যদের ছাড় দেয়ায় এটাই প্রমাণ হয়েছে। এখানেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, এই সরকার পুলিশের ওপর নির্ভরশীল। সেজন্য সরকার তাদেরকে এসব কাজ থেকে ছাড় দিয়ে যাচ্ছে। মোট কথা এই সরকার তো নির্বাচিত সরকার নয়, তাদের কোনও ম্যান্ডেট নেই। তারা জোর করে ক্ষমতায় আছে। এ কারণে তারা এই ধরনের দুর্বৃত্তায়ন করছে।’

ভারতের সঙ্গে চুক্তি, আবরার ফাহাদ হত্যা, ভোলার জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের সময় বিএনপির মহাসচিব ছিলেন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ‘দেশে যখন সংবাদের ঘনঘটা ওই সময়টা আমি মিস করেছি। তবে আমি ট্র্যাকে ছিলাম, খোঁজ-খবর রেখেছি। অবজারভ করেছি। বুয়েটের আবরার ফাহাদ হত্যার যে ঘটনা- এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। এটা ক্ষমাহীন একটা অপরাধ। এই অপরাধের পেছনে আমি সম্পূর্ণভাবে সরকারকে দায়ী করবো। ছাত্রলীগ বা যুবলীগ গত কয়েক বছর ধরে একেবারেই লাগামহীন হয়ে গেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে বিষয়টা নিয়ে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে-এটা কোনও মতেই কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। একজন সাধারণ নাগরিক যে, তার দেশের স্বার্থ সম্পর্কে একটা মতামত দিতে পারবেন না-এটা কখনও চিন্তা করা যায় না। আমরা মনে করি যে, ভারতে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি যে চুক্তিগুলো করেছেন, যেসব এমওইউ সই করেছেন সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হয়নি।’

‘এ কথাগুলো বলতে গিয়ে একজন প্রাণ হারাবে এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি তো মনে করি যে, এজন্যই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত ছিল।’

ভোলার ‍মুসলিম জনতা-পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের ঘটনায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোলার ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমি বলব যে, এই ধরনের ঘটনাগুলোকে আমার কেন যেন সন্দেহ হয়, নিশ্চিয়ই কোনও না কোনও মহল থেকে এই ধরনের ঘটনাগুলোকে উসকানি দেয়া হচ্ছে। যারা এই ধরনের লেখা লেখেন আমাদের রসুল (সা.) সম্পর্কে, ধর্ম সম্পর্কে, সাধারণ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করেন এটা নিন্দনীয়। একইসঙ্গে পুলিশ যে গুলি করেছে সেটা আরও বেশি নিন্দনীয়। এজন্য যে, আমরা দেখলাম ভোলায় কোনও রকমের ভায়োলেন্স ছিল না। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পুলিশ আক্রমণ করেছে, গোলাগুলি করেছে। এতে প্রমাণিত হয়- ভিন্নমত প্রকাশে কোনো স্বাধীনতা নেই। যেটা আমরা বার বার বলে আসছি।’

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে রাশেদ খান মেননের দেয়া বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মেনন ভাইকে ধন্যবাদ দেই এ কারণে যে, এতোদিন পরে তিনি সত্য কথা বললেন। এরপর সরকারের উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করা।’

এদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের পরিচালিত শুদ্ধি অভিযানকে আইওয়াশ হিসেবে অভিহিত করেন মির্জা আলমগীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!