Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই : প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই : প্রধানমন্ত্রী

72726-hasina-photo2aamr

নিউজ ডেক্স : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ সঙ্গে থাকলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। নির্বাচন ঠেকানোর মতো কারো কোনো শক্তি নেই। সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আসার জন্য আমি সব সময় পক্ষেই ছিলাম, এখনো আছি। তবে এটাও ঠিক, এটা তাড়াহুড়া করে চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ একটা প্র্যাকটিসের ব্যাপার আছে।’

গতকাল রবিবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিমসটেক সম্মেলনের নানা বিষয় অবহিত করতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নেপালের কাঠমাণ্ডুতে চতুর্থ বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ মিনিটের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এরপর এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ১০০ বছরে কোন পর্যায়ে যাবে, সেই পরিকল্পনা চলছে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ‘২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কী করব তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি। এর আগে নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা দিনবদলের সনদ দিয়েছি। এখন দিনবদলের সনদ চলছে। কাজও চলছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘২১০০ সালে বাংলাদেশকে কিভাবে দেখতে চাই, বদ্বীপকে বাঁচিয়ে রাখা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য অভিঘাত থেকে বাঁচাতে এই প্ল্যান। দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেই ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়ন হাতে নেওয়া হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের জন্য কাজ করেছি। উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। সবাই এ উন্নয়ন দেখতে পারছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নেই। তবে লক্ষ্য ও পরিকল্পনা গ্রহণে কাজ করে ফেলছি। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছাড়া আসলে দেশের উন্নয়ন হবে না। সে লক্ষ্যে ২০১০ থেকে ২০, ২০২১ থেকে ৪১ সাল পর্যন্ত করণীয় অনেক দূর এগিয়েছে। ২০৪১ থেকে ১০০ সাল পর্যন্ত কী হবে সেই পরিকল্পনাও দিয়ে যাচ্ছি। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। দেশ এগিয়ে যাবে। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নই আমার ইচ্ছা। আর কিছু চাই না তো।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ যদি এ দেশের উন্নয়ন চায় তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। যদি আবার আমরা ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে এ দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখব।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা যদি ক্ষমতায় না আসতে পারি তাহলে যারা এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে তারা আবার ক্ষমতায় আসবে। তারা আবার দেশের সম্পদ লুটপাট করবে।’

দ্রুত মুক্তি চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে : বিএনপির চলমান আন্দোলন ও দলটির প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এতিমদের টাকা চুরির দায়ে। দুর্নীতির মামলায় তিনি কারাগারে। ওনারই পছন্দের ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনের সময় মামলা দেওয়া হয়েছে। ১০ বছর ধরে এই মামলা চলেছে। তাই কোর্টের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আর দ্রুত মুক্তি চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এটাই আমাদের সিস্টেম। এই মামলায় আমাদের ওপর দোষ দিয়ে তো কোনো লাভ নেই।’

জোর করে কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই না : সরকারপ্রধান আরো বলেন, ‘বিএনপির এত নামিদামি ব্যারিস্টার, তারা কেন পারল না যে খালেদা জিয়া নির্দোষ। এখানে আমাদের কী দোষ? এখন বলছে নির্বাচন করবে না। নির্বাচন করবে কি করবে না এটা একটা দলের বিষয়। এখানে কাউকে দাওয়াত দেওয়া, না দেওয়া আমাদের বিষয় নয়। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না সেটা তাদের ব্যাপার। এটি তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। আমরা জোর করে কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই না।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানে বিধান সংরক্ষিত আছে। আমরা বহু অভিজ্ঞতা নিয়েছি। মার্শাল ল দেখলাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেখলাম, কারে বসাব, বসলে তো চেয়ার ছাড়ে না। আমরা আর অনির্বাচিত সরকারের হস্তক্ষেপ দেখতে চাই না।’

মিডিয়া তাদের ফেভার করে : দেশের সুধীসমাজ ও গণমাধ্যমের সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) চুরি করলে অনেকেই তাদের পক্ষে। আর আমাদের বেলায় পান থেকে চুন খসলে তোলপাড় শুরু হয়।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিডিয়া তাদের (বিএনপি) ফেভার করে, আমি তো থাকি আপনাদের (টেলিভিশন) হয় ৩ নম্বর, ৪ নম্বর, না হয় ৫ নম্বরে। বিএনপি পার্লামেন্টেও নেই, মিডিয়ার কাছে বিএনপিই ফেভার পাচ্ছে। এটা হলো বাস্তবতা।’

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর নিজের দেশে প্রত্যাবর্তনের সময় তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সঙ্গে তাঁর আর আলোচনার কোনো প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সন্তান আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর আমি তাঁর বাসায় গেলাম। আমার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হলো। ওই দিন থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের (বিএনপি) সঙ্গে আমার আর কোনো আলোচনা হতে পারে না।’

ড. কামাল আনকনটেস্টে জিতে এসেছিলেন : সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন নির্বাচন চান কি না সে প্রশ্ন রাখেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ড. কামাল গং, যারা একসঙ্গে হয়েছে তারা আদৌ নির্বাচন চায় কি না? কারণ বাংলাদেশে একটা শ্রেণি বসেই থাকে একটা অনির্বাচিত কিছু আসলে, তারা একটা ফ্ল্যাগ পায়। ড. কামাল হোসেনও আনকনটেস্টে জিতে এসেছিলেন। জাতির পিতা একটা আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন, সেই সিটে কেউ কনটেস্ট করেনি। উনি (ড. কামাল) এমপি হয়ে আসলেন। সেই আনকনটেস্টের যিনি এমপি, তিনি আনকনটেস্ট মানতে চান না। নিজেকে আবার সংবিধান প্রণেতা দাবি করেন, এখন আবার সেই সংবিধানও তিনি মানতে চান না।’

পকেটে সব সময় একটা টিকিট থাকে : প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই রাজনীতির মাঠে ভালো দল আসুক প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ভালো বিকল্প থাকা উচিত। কিন্তু তারা তো ভিন্ন কৌশলে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিছু লোকই থাকেন, যারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চান।’ তিনি বলেন, ‘তারা সব মিলিয়ে একটা জোট করেছে, এটা ভালো। বাংলাদেশে তো দুটি দল, একটা আওয়ামী লীগ, আরেকটা আওয়ামী লীগবিরোধী। আওয়ামী লীগবিরোধীদের তো একটা জায়গা থাকা দরকার। ড. কামাল হোসেন সাহেবের পকেটে সব সময় একটা টিকিট থাকে, উনি যখন একটা গরম বক্তৃতা করেন তখন ওনার স্যুটকেস ও প্লেন (বিমান) রেডি থাকে।’

বিকল্পধারা করলেন, সেটা স্বকল্প হয়ে গেছে : শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্ততপক্ষে একটা ভালো জোট হোক, আমরা নির্বাচনটা কনটেস্ট করি। একটা তো বিকল্প থাকতে হবে। বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিকল্পধারা করলেন, সেটা এখন স্বকল্প হয়ে গেছে। আমাদের তো কোনো কিছু হলে সব উত্তর পাড়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি তো মৃত্যুর মুখে আছি সব সময়। একটু আন্দোলন দেখলেই সেটার ঘাড়ে চড়ে সবাই বসতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘সেই আন্দোলন করে যদি কেউ সফল হয় আর যদি উত্তর পাড়া থেকে কেউ আসে সেটাই তো ওনারা চান। সুষ্ঠুভাবে গণতন্ত্র তো তাঁরা চান না।’

বসলে তো চেয়ার ছাড়ে না : প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সরকার থেকে আরেকটা সরকারে যেতে যেন কোনো ফাঁকফোকর না থাকে। মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে গেলে সংসদ ভেঙে দিতে হয়। সংসদ কিন্তু কখনো শেষ হয়ে যায় না। যদি কোনো ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, যদি কোনো যুদ্ধ দেখা দেয় তখন ওই পার্লামেন্টের অনুমোদন নিয়েই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হবে।’ নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কারে বসাব, বসলে তো চেয়ার ছাড়ে না।’

ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইভিএম ডিজিটাল বাংলাদেশেরই একটা পার্ট। আমরা এখন টাকা পাঠাচ্ছি অনলাইনে, গাড়ি কিনছি অনলাইনে, সবজি কিনছি অনলাইনে। এটা ঠিক যে প্রযুক্তি আমাদের সব সময় সুবিধা করে দেয় তা কিন্তু নয়।’ তিনি বলেন, ‘আজকে ইভিএমের বিরুদ্ধে বিএনপি সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। ভোটের রাজনীতিতে কারচুপি করা এটা তো স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিল জিয়াউর রহমান। আজকে বিএনপি যখন ভোটের কারচুপি নিয়ে কথা বলে তখন তাদের তো জন্মলগ্নটা দেখা দরকার। কোন জন্মের মধ্য দিয়ে তারা এসেছিল? ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের কথা সবার মনে আছে। যাদের জন্মটাই কারচুপির মধ্য দিয়ে তারা আবার কারচুপি নিয়ে কথা বলে!’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে তারা অভিযোগ করবেই, কারণ কারচুপির একটা টেকনিক তাদের জানা আছে। বহু টেকনিক তারা ইলেকশন কারচুপিতে জানে। ইভিএম চালু হলে ব্যালট পেপার একটার বদলে দুটো নিতে পারবে না। সে জন্য তারা ইভিএমে আপত্তি জানাচ্ছে।’

বিএনপি-জামায়াতের কাছে শিখল কি না মিয়ানমার : মুক্তিযুদ্ধের ছবি ব্যবহার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গাবিরোধী অপপ্রচার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা নিয়ে বলতে চাই, আমাদের দেশেও এই ধরনের ছবি নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। এখন কথাটা হচ্ছে, শিখল কার কাছ থেকে এরা? আমাদের বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে এগুলো শিখল কি না তারা? বিভিন্নভাবে জামায়াত-বিএনপিও কিন্তু এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছিল। মিয়ানমার যেটা করেছে, এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার এ বিষয়ে আলোচনা হয়। তাদের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, সে চুক্তি অনুযায়ী তাদের তিন হাজার লোকের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে, যারা ফিরে যেতে চায়। তিনি (মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট) তাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত বলে আমাকে জানিয়েছেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। তারা বলে, কিন্তু করতে পারে না। কারণ করতে গেলে অনেক বাধা আসে।’

সময়ে নীরব, অসময়ে সরব : জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের সমালোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সময়ে নীরব, অসময়ে সরব, তাঁর নাম আ স ম রব।’

নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মান্না সারা জীবন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লিখল। আওয়ামী লীগে ফেরার পর বললাম, এবার আওয়ামী লীগের পক্ষে কিছু লিখো। ভালো লিখতে বললেই মান্না জুড়ে দেয় কান্না।’

বঙ্গবভবন থেকে রেললাইনের ওপর নিয়ে ছেড়েছে : সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দৌজা চৌধুরীর সমালোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর পিতা যুক্তফ্রন্ট সরকারে ছিলেন। স্বাধীনতার পর টেলিভিশনে চিকিৎসা বিষয়ে প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বি চৌধুরীর পরিচিত হওয়ার বিষয়ও তুলে ধরেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘পরে বিএনপিতে যোগ দেন এই ব্যক্তি। বিএনপি তাঁকে (বি চৌধুরী) বঙ্গভবন থেকে রেললাইনের ওপর নিয়ে গিয়ে ছেড়েছে। আর বিকল্পধারা এখন স্বকল্প ধারা।’

পাকিস্তানের নতুন সরকার প্রসঙ্গ : এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে জানতে চাইলে পাকিস্তানের নতুন সরকারকে সহযোগিতা করা হবে। তিনি বলেন, ইমরান খান ভালো খেলোয়াড় ছিলেন, খেলার মাঠে ছক্কা মেরেছেন। এখন সরকারে ছক্কা মারবেন কি না, সেটা দেখার বিষয়।

বিমসটেক প্রসঙ্গ : প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। নেপালে ওই সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং ভুটানের সরকারপ্রধান দাশো শেরিং ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক করতে পেরে খুশি শেখ হাসিনা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক সম্মেলনের নানা দিক তুলে ধরে বলেন, সার্বিক বিবেচনায় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন এবং এর অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সভা বাংলাদেশের জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!