ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | তাসফিয়া ‘হত্যার’ রেশ কাটতে না কাটতেই খুন হলো এক কিশোর

তাসফিয়া ‘হত্যার’ রেশ কাটতে না কাটতেই খুন হলো এক কিশোর

Munna-1

নিউজ ডেক্স : নগরীতে কিশোরী তাসফিয়া ‘হত্যার’ চাঞ্চল্যকর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো খুন হলো এক কিশোর। গতকাল নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন একটি মার্কেটের সামনে প্রকাশ্যে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আরাফাত (১৯) নামে ওই কিশোর খুন হয়। পুলিশ জানিয়েছেন, পপুলার জিম নামে একটি ব্যায়ামাগারে সমবয়সী এক কিশোরের সাথে বিরোধের জেরে এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৮টা নাগাদ চান্দগাঁও থানাধীন কামাল বাজারের কবির–বশির টাওয়ারের সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ আরাফাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে চান্দগাও থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা) আবুল বশর  বলেন, গত রোববার পপুলার জিম নামে একটি ব্যায়ামাগারে এক ছেলের সাথে ঝগড়া হয় আরাফাতের। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে এ খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। গতকাল জিম শেষে বাসায় ফেরার পথে তাকে ধরে কয়েকজন ছেলে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ওসি। ওসি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ওই কিশোরকে ধরে কয়েকজন ছেলে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার রক্তাক্ত দেহ কবির/বশির টাওয়ারের সামনে অনেকক্ষণ পড়ে ছিল। পরে ঘটনাস্থলে টহল পুলিশের একটি দল পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ছেলেটি গরিব পরিবারের। সে একটি কোম্পানিতে ওয়েল্ডিং এর কাজ করত। এছাড়া সে মাঝে মাঝে জিমে যেত।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এ এসআই শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, কে কারা আরাফাতকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সে মোহরা এলাকার বাসিন্দা মো. হোসেনের ছেলে। একটি কোম্পানিতে কাজ করত। এদিকে আরাফাতের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে আসেন। এসময় তাদের আর্তনাদে শোকবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২ মে স্কুল ছাত্রী তাসফিয়ার লাশ পাওয়া যায় নেভালের ১৮নং ঘাটে। ‘হত্যা’ নাকি ‘আত্মহত্যা’ তাসফিয়ার মৃত্যুকে ঘিরে এ দুটো প্রশ্ন আছে তার লাশ উদ্ধারের পর থেকেই। প্রশ্নগুলোর উত্তর এখন পর্যন্ত দিতে পারেনি পুলিশ। নিহতের পিতার অভিযোগ, মন্থর গতিতে আসামিদের খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। আশানুরূপ কোনো অগ্রগতি নেই এ মামলার। বরং হত্যাকাণ্ডের জন্য সমাজ ব্যবস্থাকে দায়ী করছে পুলিশ। তাসফিয়ার মৃত্যু নিয়ে চট্টগ্রাম তো বটেই, সারাদেশেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ আছে, কৌতূহল আছে। আছে নানা প্রশ্নও। এর মধ্যে ঘটে গেল আরেক কিশোর হত্যার ঘটনা।

সূত্র : দৈনিক আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!