নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামে কোভিড- ১৯ (করোনা ভাইরাস) এর হালচাল নিয়ে মন্তব্য করেছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় করোনা বিষয়ক সেলের সমন্বয়ক ও সাতকানিয়ার সন্তান ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান।
শুক্রবার (১৫ মে) রাতে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এ মন্তব্য করেন। তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
১. কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, অবিশ্বাস্য দ্রততায়, চাপ সইতে না পারার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালগুলোও। চট্টগ্রামে যে হারে রোগী বাড়ছে, ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল দুটি নতুন রোগী ভর্তির সুযোগ দিতে পারবে কি না তা নিয়েও শংকা বাড়ছে জনমনে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট প্রস্তুত,সরকারী নির্দেশনা পেলে এটিই হতে পারে চট্টগ্রামের কোভিড রোগীদের সর্বোচ্চ ভরসাস্থল। আপাতত: একশ’ শয্যা প্রস্তুত আছে, প্রয়োজনে থাকছে আরো দু’শ শয্যা বাড়ানোর সুযোগ, আইসিইউ, ডায়ালাইসিসসহ যাবতীয় সেবা সুবিধা প্রাপ্তির জন্য এরচে বড় কোন ভরসাস্থলও তো নেই, চট্টগ্রামে। চমেক হাসপাতালে কোভিড রোগী ভর্তির সরকারী নির্দেশনাই এ মূহুর্তে শংকার কালো মেঘ উড়িয়ে দিতে পারে এক ফুৎকারে।
২.জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডিতে আরো কিছু শয্যা বাড়ানোর সুযোগ আছে এখনো। সরকারী হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা পূরণশেষে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও নিশ্চয়ই কাজে লাগাবে সরকার। সেক্ষেত্রে স্বল্প শয্যার হাসপাতালের পরিবর্তে ২০০-২৫০ শয্যার হাসপাতাল,যেটা চালু আছে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও লোকবল নিয়ে, এমন কোন বেসরকারি হাসপাতালকেই সরকারী সহায়তায় বেছে নিয়ে আগাম পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা শ্রেয়তম বিবেচিত হওয়া সমীচিন। এখনই বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত আবেগ, প্রেম, ভালোবাসা, হুল্লোড় স্বাস্থ্য প্রশাসনকে জনমুখী সিদ্ধান্ত নিতে বাঁধাগ্রস্থ করবে, নিশ্চিত।
৩. কাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের তালিকায় চট্টগ্রামের ‘পার্কভিউ হাসপাতাল’র নাম দেখে বিস্মিত হয়েছি। যে হাসপাতালটি করোনা রোগী ভর্তি করতে অনীহা প্রকাশ করেছে শুরু থেকেই,তাদের প্রত্যাখ্যানে ফেরত যাওয়া রোগীর মৃত্যুও হয়েছে পরে, ভর্তি এড়াতে পরিত্যক্ত সংস্কারের বিকল্প প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য অর্থলগ্নি করেছে, তবুও শেষমেষ তালিকায় এ নাম কেনো! দায় এড়ানোর এই খেলা আর কতদিন?
৪. চট্টগ্রামে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতাল নির্ধারণ নিয়ে হিবিজিবি যা চলছে,তা দেখে আমার ছোটবেলার কানামাছি খেলার দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। আমার ছোট বেলা কেটেছে গ্রামে। দল বেঁধে কানামাছি খেলায় মেতে কি মায়াবী ছন্দে বলতাম- কানামাছি ভোঁ ভোঁযাকে পাবি তাকে ছোঁ ….!