ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | আগের স্ত্রী-সন্তানের কথা না জানিয়ে ফেসবুকে প্রেম, বিয়ে এবং খুন

আগের স্ত্রী-সন্তানের কথা না জানিয়ে ফেসবুকে প্রেম, বিয়ে এবং খুন

Asha-Akter_20-02-2019

নিউজ ডেক্স : ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে বগুড়ার আশা আক্তারের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. শামীমের প্রেম, তারপর বিয়ে। বিয়ের চার মাসের মাথায় গলাকেটে শামীমকে খুন করেন আশা আক্তার। শামীম খুন হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে আশা আক্তারকে বগুড়া থেকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম নিয়ে আসার পর এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। খবর বাংলানিউজের।

আজ বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘এক বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে চার মাস আগে বিয়ে হয় শামীম ও আশা আক্তারের। বিয়ের পর আশা আক্তার জানতে পারেন, শামীম আগেও বিয়ে করেছেন এবং তার দুইটি বাচ্চা আছে। সেই ক্ষোভ থেকে শামীমকে খুনের পরিকল্পনা করে আশা আক্তার।’

ডিআইজি কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘আশা আক্তার আগে কখনও চট্টগ্রাম আসেননি। ১৬ ফেব্রুয়ারি শামীমের সঙ্গে প্রথম এসেছিলেন। সেদিনই শামীমকে ঘুমের মধ্যে খুন করে বগুড়া পালিয়ে যান। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরিটি বগুড়া থেকে কিনে নিয়ে এসেছিলেন আশা আক্তার।’

তিনি বলেন, ‘শামীমকে বগুড়াতে স্যাটেল (স্থায়ী) করার জন্য এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি ইজিবাইক কিনে দিয়েছিলেন আশা আক্তার। কিন্তু শামীম আশা আক্তারকে না বলে চট্টগ্রাম চলে আসায় ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। এর পরই খুনের পরিকল্পনা করে আশা। শামীম ফোনে আশা আক্তারকে চট্টগ্রাম চলে আসার জন্য বললে তিনি রাজি হয়ে যান। পরে শামীম গিয়ে আশা আক্তারকে নিয়ে আসেন এবং ভাড়া বাসায় উঠেন।’

কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘শামীমকে একাই খুন করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে আশা আক্তার।’

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি’র উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (পাহাড়তলী জোন) পংকজ বড়ুয়া, পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ উপস্থিত ছিলেন।

যেভাবে শনাক্ত ভিকটিম ও খুনী

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে খুন হওয়ার পর পাহাড়তলী থানাধীন আবদুল আলী নগর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর তদন্তের দায়িত্ব পান পাহাড়তলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্ণব বড়ুয়া।

একটি ফোন কলের সূত্র ধরে প্রথমে ভিকটিম শামীমের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। পরে শামীমের সঙ্গে কথোপকথনের সূত্র ধরে শনাক্ত করা হয় আশা আক্তারকে।

শামীমের পরিবারের কেউ আশা আক্তারকে চিনতেন না, কখনও দেখেননি। না চিনলেও শামীমের সঙ্গে এক মেয়ের মোবাইল ফোনে কথা হয় এমন তথ্য পুলিশকে দেন শামীমের পরিবার। আশা আক্তারের পরিচয় পেয়ে পুলিশ দুইদিন বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

এসআই অর্ণব বড়ুয়া বলেন, ‘বাসা ভাড়া নেয়ার জন্য বাড়ির মালিকের মেয়ের মোবাইল নম্বরে কল দিয়েছিলেন শামীম। সেই নম্বরের সূত্র ধরে শামীম ও আশা আক্তারের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।’

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘বুধবার দুপুরে আশা আক্তারকে আদালতে তোলা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!