Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য: কর্মকর্তাদের সিইসি

অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য: কর্মকর্তাদের সিইসি

নিউজ ডেক্স : নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রভাবমুক্ত ও প্রলোভনমুক্ত থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, অন্যথায় সেটি দুর্নীতি হবে। সংসদ ও সরকার সৃষ্টিতে নির্বাচন কমিশনের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শুধু গর্ব করার বিষয় নয়, চেতনায় লালন করার বিষয়।

সিইসি বলেন, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। যথাসাথ্য চেষ্টা করতে হবে। আমরা যদি কোনো অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত হই, সেটা প্রচণ্ড রকমের দুর্নীতি হবে, যা ক্ষমার অযোগ্য।

বুধবার (২ মার্চ) জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবীব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমি বিশ্বাস করি নির্বাচন কমিশনের কেউ প্রলুব্ধ বা প্রভাবিত হয়ে এই কাজটি কখনই করবেন না।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আজ ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস। আজকের দিনের প্রতিপাদ্য ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, রক্ষা করবো ভোটাধিকার’। এটা শুধু বুলি নয়, এটা কমিশনের একটা অঙ্গীকার। কোনো অঙ্গীকার করলে তা অন্তরে ধারণ করতে হবে। তা না হলে আমরা মিথ্যাচার করবো। চেষ্টা অন্তত করতে হবে। সফল নাও হতে পারি, কিন্তু গণমানুষের যে ভোটাধিকার- সেটা বাস্তবায়নের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আমাদের ওপর রয়েছে সেটা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন, তারা বাধাবিপত্তির মুখোমুখি হতেও পারেন আবার নাও হতে পারেন। যদি বাধাবিপত্তির মুখোমুখি হন তাহলে কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি আছে ও থাকতে হবে- আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। যাতে তারা স্বাধীন ও মুক্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে ইচ্ছা তাকে দেবো।

সিইসি বলেন, আমি (ভোটার) আমার শাসককে নির্বাচন করবো। তিনি যদি আমার পছন্দ না হন, পরে আমি আর তাকে ভোট দেবো না। আবার ভোটাধিকার শুধু অধিকার নয়, এটি একটি দায়িত্ব। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে ভোট না দিলে জরিমানা করা হয়। সেটা হয়তো আমাদের এখানে সম্ভব নয়। তবে তাদের মতো হলে হবে।

তিনি বলেন, ছাত্ররা যেন মানুষকে সচেতন করতে পারেন যে এটা শুধু অধিকার নয়, এটি একটি দায়িত্ব। সবাইকে এটি ধারণ করতে হবে। একটি অনুষ্ঠানের (ভোটার দিবস) মাধ্যমেই যেন এটি শেষ না হয়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, স্থানীয় নির্বাচনেও আমরা সহায়তা করি, যদিও সেটি আমাদের মূল দায়িত্ব নয়। কাজেই সরকার গঠন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার গঠন পর্যন্ত কিন্তু ইসির গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা সরকার, সংসদ সৃষ্টিতে ইসি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে।

তিনি বলেন, ভোটাধিকারের ক্রমবিকাশ জানতে হবে। একটি সুশৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থা আনার জন্য ভোটাধিকারের প্রবর্তন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ আনোয়ার গার্লজ কলেজ ও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২১ জন শিক্ষার্থীকে স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়। -জাগো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!