
নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক নিয়োগে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত ফাঁস হওয়া ৫টি ফোনালাপে দায়িত্বশীল কথাবার্তা না বলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বেলা ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৮তম এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভায় এ সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, সিন্ডিকেট সভায় ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় উপাচার্যের সহকারী খালেদ মিসবাহুল মোকর রবীনকে পদাবনতি ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আহমদ হোসাইনকে চাকরিচ্যুত করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। তবে এখানো অর্থ লেনদেনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মূলত ফোনালাপে তাদের কথাবার্তাগুলো দায়িত্বশীল না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া তদন্তে ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর উপাচার্যের দফতর থেকে ফারসি বিভাগের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি ফাইল হারানোর ঘটনা বেরিয়ে আসে। সেদিন উপাচার্যের দফতরে উপস্থিত সবাইকে প্রশাসনিক ভবনের বাইরে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি মনে করে এসবের পেছনে একটি চক্র কাজ করছে। তাই এ চক্রের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি আইনে মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সব সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে গত ৩ মার্চ চবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত ৫টি ফোনালাপ ফাঁস হয়। এ ঘটনায় গত ৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নিয়োগ বাতিল ও চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন।
গতকাল (৬ জুলাই) তদন্ত কমিটি চার মাস পর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে ১০টি সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রার্থীদের আবেদনের জন্য ২১ কর্মদিবস সময় দেওয়া। মৌখিক পরীক্ষার তারিখের পর প্রার্থীদের ১০ কর্মদিবস সময় দেওয়া। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীকে মেইল পাঠানো এবং ডাকযোগে জানানো। নিয়োগসংক্রান্ত অফিসগুলোতে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, জায়গা এবং সিসি ক্যামেরা রাখা। রেজিস্ট্রার অফিসের শিক্ষক নিয়োগ শাখার সেকশন অফিসার মো. সাকির মিয়াকে বদলি করা। -বাংলানিউজ