ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | দোহাজারী-চট্টগ্রাম রেলপথে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

দোহাজারী-চট্টগ্রাম রেলপথে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

5 (3)

নিউজ ডেক্স : দোহাজারী-চট্টগ্রাম রেলপথে বেড়েছে যাত্রী। সেইসাথে বেড়েছে সরকারের আয়। এ পথে ৫টি বগি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে দুই জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন।

যাত্রী বাড়ায় গাদাগাদি করে রেলবগিতে যাতায়াত করছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ। অনেকে ছাদে উঠে পড়ছেন বগিতে ঠাঁই না হওয়ায়। আবার অনেক বৃদ্ধ ও মহিলারা ট্রেনে উঠতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে বাড়িতে। তাই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। যাত্রীর চেয়ে ট্রেনে বগি কম হওয়ায় উপচেপড়া ভিড় চট্টগ্রাম-দোহাজারী ট্রেনে। এতে নির্ধারিত গন্তব্যে যাত্রায় নারী, বৃদ্ধ ও শিশুদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। রেলযাত্রীদের দাবি, এ ভোগান্তি লাঘবে যদি ট্রেনে আরো কয়েকটি বগি বাড়ানো এবং আরো এক জোড়া ট্রেন এ পথে চলাচল করে তাহলে যাত্রীদের যাত্রা হতো স্বস্তিদায়ক।

রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ৪৭ কিলোমিটার রেলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ। একসময় ৬ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন আসা যাওয়া করতো। কিন্তু ট্রেনের কোচ ও ইঞ্জিন সংকটের কারণে ধীরে ধীরে ট্রেন সার্ভিস কমিয়ে দেয়া হয়। নব্বইয়ের দশকে সংস্কারবিহীন এ পথে যাত্রীবাহী ট্রেন এক জোড়ায় নামিয়ে আনা হয়। এতে বিপাকে পড়েন দক্ষিণ চট্টগ্রামের ট্রেনে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ। গত একদশকে রেল লাইন, সেতু, রেল গেইট ও স্টেশন নির্মাণের মধ্য দিয়ে নতুন রূপ দেয়া হয় এ রেলপথকে। চট্টগ্রামবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর আরো একজোড়া ট্রেন যুক্ত করা হয়। এতে দুই জোড়া ট্রেন সকাল-বিকেল এ পথে চলাচল শুরু করলে রেলমুখী হয় দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রী সাধারণ।

হাশিমপুর গাছবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মাস্টার জাকের হোসেন, ব্যবসায়ী মো. কমরুদ্দীন বলেন, সড়কপথে নগর যাতায়াত খুবই কষ্টকর। নগরীর কালুরঘাট সেতুতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকা পড়তে হয়। তাছাড়া বোয়ালখালীতে গত দুই দশক ধরে বাস সার্ভিস বন্ধ। এসব ঝক্কি ঝামেলা এড়িয়ে সময় ও অর্থ বাঁচাতে রেলে যাতায়াত নিরাপদ। যানজটমুক্ত ও কম খরচে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা হচ্ছে ট্রেন। এ রেলপথে যদি আর এক জোড়া ট্রেন চলাচল করে, তাহলে সড়কপথে চাপ ও দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যেতো বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

বগি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে যাত্রীকল্যাণ পরিষদের সভাপতি আবু শাহাদত মো. সায়েম বলেছেন, প্রতিদিনই যাত্রী ভিড় থাকছে এ রেলপথে। বিশেষ করে সকালে নগরমুখী ট্রেনটিতে প্রচুর ভিড়। এ সময় অনেকেই ট্রেনে উঠতেই পারে না। বগি কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। সকাল ও সন্ধ্যায় প্রচুর যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে ৫টি বগি নিয়ে ৪টি ট্রেন। কালুরঘাট সেতুর ভোগান্তি এড়াতে রেলমুখী হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ। সেই অনুযায়ী যদি সেবাও বাড়ানো হয় তবে সরকারি রাজস্ব আরো বাড়বে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

সূত্র : দৈনিক পূর্বকোণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!