Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চন্দনাইশের পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া, চাঁদা দাবি

চন্দনাইশের পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া, চাঁদা দাবি

নিউজ ডেক্স : চন্দনাইশের পাহাড়ি এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা একটি ইটভাটার মালিককে না পেয়ে শ্রমিকদের মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেয়।

অনেক লেবু ও পেয়ার বাগানের মালিক এবং শ্রমিকদের মারধর করে তারা। পরে তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে চলে যায়। ঘটনার পর থেকে ইটভাটা, পেয়ারা ও লেবু বাগানের মালিক এবং শ্রমিকরা আতংকের মধ্যে রয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার পূর্ব এলাহাবাদ পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, গতকাল সকাল ৯টার দিকে একদল সশস্ত্র উপজাতি সন্ত্রাসী উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের পূর্ব এলাহাবাদ এলাকায় প্রকাশ্যে মহড়া দেয়। এ সময় তারা লেবু ও পেয়ারা বাগান মালিক এবং শ্রমিকদের মারধর করে এবং চাঁদা দাবি করে।

এক পর্যায়ে তারা কাঞ্চননগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস শুক্কুরের মালিকানাধীন ইটভাটায় গিয়ে মালিক ও ম্যানেজারকে খোঁজে। তাদেরকে না পেয়ে শ্রমিকদের মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেয়।

ইটভাটা এলাকায় কিছুক্ষণ অবস্থান করে কয়েকটি মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পাহাড়ের দিকে চলে যায়। সন্ত্রাসীদের দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরগুলো হলো ০১৮৫৫-৬২১১৩০, ০১৭২৫-৬৮৯৮৬৮, ০১৫৮৬-১৩৪২১৮, ০১৫৩১-৫৮৩৭৮৭।

কাঞ্চননগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও থ্রিবিএম ইটভাটার মালিক আবদুস শুক্কুর বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে সশস্ত্র উপজাতি সন্ত্রাসীরা এসে আমাকে এবং ইটভাটার ম্যানেজারকে খোঁজে। আমাদেরকে না পেয়ে শ্রমিকদের মারধর করে এবং কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য কয়েকটি মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ইটভাটায় গিয়েছিলাম কিন্তু এর আগে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে চলে যায়।’ তিনি বলেন, ‘আমি লোকজনের কাছে শুনেছি একদল সন্ত্রাসী আমার ইটভাটায় আসে এবং অন্য একটি দল দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে পাহাড়ে অবস্থান করছিল। তারা সেখানে লেবু ও পেয়ারা বাগানের মালিক এবং শ্রমিকদের মারধর করেছে। ঘটনার পর থেকে আমরা আতংকের মধ্যে রয়েছি।’

আবদুস শুক্কুর আরো জানান, সন্ত্রাসীরা তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নম্বর দিয়ে গেছে কিন্তু তিনি তাদের সাথে যোগাযোগ করেননি। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পেয়ারা বাগানের মালিক জানান, তারা মূলত চাঁদার দাবিতে এসব কিছু করছে। অতীতে এ ধরনের ঘটনা আরো ঘটেছিল। এসব সন্ত্রাসীদের দমন করা না গেলে এখানে পেয়ারা ও লেবু বাগানে আসা যাবে না। এজন্য প্রশাসনকে জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেশব চক্রবর্তী জানান, কাঞ্চননগরের পূর্ব এলাহাবাদ এলাকায় উপজাতি সন্ত্রাসীরা আসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পুলিশ পৌঁছার আগে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। এ ঘটনায় তারা একটি ডায়েরি দায়ের করেছেন বলে জানান। দৈনিক আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!