নিউজ ডেক্স : রাজধানীর কলাবাগানে তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন হচ্ছে না। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মাঠ রক্ষার আন্দোলনে নেমে ছেলেসহ থানায় ১২ ঘণ্টা আটকে থাকা সৈয়দা রত্না।
তিনি বলেন, আমি জানতাম প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছালে মাঠটিতে থানা হতে দেবেন না তিনি। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এ কথা বলেন সৈয়দা রত্না।
তিনি বলেন, মাঠটি ছিল এলাকাবাসীর নিশ্বাস। এ মাঠটি রক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে যাচ্ছিলাম। মাঠ রক্ষার জন্য আমিসহ আমার শিশু সন্তানকে থানায় ১২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তবে আশার কথা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, এই মাঠে থানা ভবন নির্মাণ হবে না।
এর আগে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৭ সালে আমরা ওই জায়গাটির জন্য অ্যাপ্লাই (আবেদন) করেছিলাম। তবে খোঁজ নিয়ে দেখলাম ওই এলাকায় খেলার জায়গা নেই। প্রধানমন্ত্রীও পরামর্শ দিয়েছেন, যেহেতু খালি জায়গা নেই, বিনোদনের কিছু নেই সেজন্য তিনি বলেছেন পুলিশের জমি সেভাবে থাকুক। কোনো কনস্ট্রাকশন যেন না হয়। যেভাবে চলছে চলতে থাকুক। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।
এর আগে ২৪ এপ্রিল (রোববার) মাঠে থানা নির্মাণের প্রতিবাদে ফেসবুক লাইভ করায় সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তাদের প্রায় ১২ ঘণ্টা থানা হাজতে আটকে রাখা হয়।
এরপর এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিভিন্ন সংগঠন থানা ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে হয় সরব। সবশেষ পুলিশ মা-ছেলেকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সৈয়দা রত্নার মেয়ে শেউতি শাহগুফতা বলেন, রাত ১টার দিকে মাঠে ট্রাক আসে। পরদিন সকাল থেকে মাঠে ইট, সুরকি ফেলা শুরু হয়। আম্মু সকাল ১০টার দিকে বের হয়ে মাঠের এখান থেকে একটা ফেসবুক লাইভ করেন। তখন এক কথা দুই কথায় পুলিশ মাকে ধরে ভ্যানে ওঠায়।
সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে আমার ছোট ভাই ঈসা আব্দুল্লাহ ফোন দিয়ে বলে, বুবু আম্মুকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এ কথা বলে সে ফোন কেটে দেয়। আমি তাকে ফোনে ব্যাক করলে ও বলে, বুবু আমাকেও ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।