ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ইউপি নির্বাচন নিয়ে সরগরম দক্ষিণ চট্টগ্রামের রাজনীতি, আ. লীগ প্রার্থীরাই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী

ইউপি নির্বাচন নিয়ে সরগরম দক্ষিণ চট্টগ্রামের রাজনীতি, আ. লীগ প্রার্থীরাই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী

নিউজ ডেক্স : ইউপি নির্বাচন নিয়ে সরগরম দক্ষিণ চট্টগ্রামের রাজনীতি। জেলা থেকে উপজেলা, ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত এখন একটিই আলোচনা চলছে আসন্ন চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে কোন ইউনিয়েন কে জিতছেন! দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী নাকি দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। কারণ প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিলেও দলের বাইরে গিয়ে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মরিয়া। অনেকেই দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র ব্যানারে নির্বাচন করতে মাঠে নেমেছেন।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের ২৭ ইউপিতে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৩ উপজেলার ২৭ ইউপিতে প্রায় ২ শতাধিক প্রার্থী আগে থেকেই আগ্রহ নিয়ে মাঠে রয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে খবর নিয়ে জানা গেছে, অনেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগই। অন্যান্য দলের প্রার্থী একেবারেই কম। উল্লেখ্য, চতুর্থ ধাপে চট্টগ্রামে পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে, কর্ণফুলী উপজেলার ৪ ইউনিয়নে এবং লোহাগাড়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইউনিয়নগুলো হলো পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, কুসুমপুরা, জিরি, আশিয়া, কাশিয়াইশ, জঙ্গলখাইন, বড়লিয়া, ধলঘাট, কেলিশহর, হাইদগাও, দক্ষিণভূর্ষি, ভাটিখাইন, ছনখরা, কচুয়াই, খরনা, শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন। কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা, শিকলবাহা, চরলক্ষ্যা, বড়উঠান ইউনিয়ন। লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া, পদুয়া, চরম্বা, চুনতি, কলাউজান ও পুটিবিলা ইউনিয়ন। এদিকে কর্ণফুলী উপজেলার ৪ ইউনিয়নে গতবারের বিদ্রোহী প্রার্থীরা এবারও মনোনয়ন লাভে নানান চেষ্টা-তদ্বিরে ব্যস্ত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়র বোর্ড গতবারের বিদ্রোহীদের বাদ দিয়ে দলের ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন নেতাদের মনোনয়ন দিয়েছেন। তবে কর্ণফুলীতে কয়েকটি ইউনিয়নে গতবারের মতো এবারও বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বেশ কয়েকজন।

তফসিল অনুযায়ী, এই ধাপের নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়পত্র দাখিল করতে হবে আজ ২৫ নভেম্বরের মধ্যে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২৯ নভেম্বর। এরপর ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। ৬ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ২৬ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজাদী প্রতিবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!