নিউজ ডেক্স : অতিরিক্ত ভ্রমণকারীদের কবল থেকে দেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন্সকে রক্ষার তাগিদ উঠেছে সুশিল সমাজের তরফে। হাজার হাজার মানুষের চাপে অথৈ সাগরের বুকে ভাসমান দ্বীপটি বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে।
দিন দিন পরিবর্তন হয়ে পড়ছে দ্বীপের পরিবেশ। এমন অবস্থায় দ্বীপে হাজার হাজার পর্যটকের রাতযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। কেবল সকালে গিয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসার নিয়ম চালু করলে দ্বীপটি অনেকাংশেই ভারমুক্ত হবে বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা। বৃহষ্পতিবার কক্সবাজারে অনুষ্টিত বিদ্যমান মাষ্টার প্যান ও আইন এবং সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের ভুমি ব্যবহার শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল ফোরকান আহমদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিশেষজ্ঞরা আশংকা প্রকাশ করেছেন দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন্স ২০৫০ সালের মধ্যেই সাগরে ডুবে যাবে। এ কারনেই সবাইকে সচেতন করতে হবে এমন উদ্বেগজনক বিষয়টি নিয়ে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান বলেন-একমাত্র দ্বীপের অস্তিত্বরক্ষার জন্য আমি গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে পর্যন্ত তাঁর ব্যক্তিগত হোটেল নির্মাণের ছাড়পত্র দেইনি। তবে কয়েক মাস আগে মন্ত্রীকে পরিবেশ বান্ধব অবকাঠামো (কাঠ, বাঁশ ও ছনের তৈরী) নির্মাণের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
বক্তারা সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে চলাচলকারি পর্যটক জাহাজ কেয়ারি সিনবাদ ও কেয়ারি বে ক্রুজ নামের জাহাজ দু’টির চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, জাহাজ দু’টির মালিকানা হচ্ছে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর পরিবারের। একারনে জাহাজ দুটির চলাচল নিষিদ্ধ সহ অন্যান্য জাহাজের চলাচলও অনুৎসাহিত করতে হবে। তবে দ্বীপে একেবারে পর্যটক ভ্রমণ বন্ধ না করে এখন থেকে সীমিত করার লক্ষে পর্যটকদের রাত যাপন বন্ধ করে দিতে হবে।