ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সাতকানিয়ায় বিষপানে মন্দিরের পুরোহিত ও স্ত্রী’র আত্মহত্যা

সাতকানিয়ায় বিষপানে মন্দিরের পুরোহিত ও স্ত্রী’র আত্মহত্যা

suiside443

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে অপমানে মন্দিরে বিষপানে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সাতকানিয়া থানা পুলিশ উপজেলার পুরাণগড় ইউনিয়নের ফকিরখীল ‘মা’ মগদেশ্বরী মন্দিরের দু’টি কক্ষ থেকে পুরোহীত স্বপন দে (৬০) ও তাঁর স্ত্রী চিনু দে (৪৭) লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাছানুজ্জামান মোল্লা ও থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ফকিরখীলে ‘মা’ মগদেশ্বরী মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সেখানে একটি কক্ষে স্বপন দে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। মন্দিরে তিনি এলাকার ধর্মীয় গুরু হিসাবে শুনাম অর্জন করে। সে হিসাবে স্বপন দে স্থানীয় কয়েক জন মহিলা ও পুরুষের মাধ্যমে এনজিও থেকে ঋণ নেয়। ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, কিছু মানুষের মাধ্যমে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে স্বপন দে তার ছেলে মিন্টু দেকে দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে। পরে ছেলে টাকা ফেরত না দেয়ায় স্বপন বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে নেয়া ঋণের টাকা ঠিক সময়ে পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে বলে স্থানীয়রা আমাকে জানান। হয়তো পাওনাদাররা তাকে টাকার জন্য চাপ দেয়ায় সোমবার রাতের কোনো এক সময় মন্দিরের ভিতর উত্তর পাশে তাদের থাকার কক্ষে স্বামী-স্ত্রী দু’জনই বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তাদের ঘরে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর খবর শুনেও ছেলে মেয়ে কেউ পুরাণগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.ফ.ম মাহবুবুল হক সিকদার বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি স্বপন দে ১০-১২ লাখ টাকার মতো স্থানীয় তার বিশ্বস্ত মানুষের মাধ্যমে এনজিও থেকে ঋণ নেয়। প্রতি সপ্তাহে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয় তাকে। আজ মঙ্গলবারও ৫০ হাজার টাকার একটি কিস্তি পরিশোধের কথা ছিল। টাকা জোগাড় করতে না পারায় অপমাণে স্বামী-স্ত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল হোসেন বলেন, স্বপন দে এলাকার মানুষের অনুদানে মা মগদেশ্বরী মন্দিরটি নির্মাণ করেন। এতে তিনি ধর্মীয় গুরু হিসাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে ফকিরখীলে শুনাম অর্জন করে মন্দিরে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। মানুষের কাছে দেনা পরিশোধ করতে না পারায় অপমাণে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়। এব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!