ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়ায় মসজিদের সভাপতির হাতে খতিব লাঞ্ছিত!

লোহাগাড়ায় মসজিদের সভাপতির হাতে খতিব লাঞ্ছিত!

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের দয়ার পাড়া বায়তুশ শরফ মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির হাতে খতিব লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মসজিদের খতিব মাওলানা মো. রাশেদুল ইসলাম থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। অভিযুক্ত নুরুল আলম (৬০) ওই এলাকার মৃত আবদুল গফুরের পুত্র।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনারদিন খতিব জুমার নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির বাড়ির সামনে পৌঁছলে খতিবকে একা পেয়ে পায়ের জুতা দিয়ে মারধর করে। এছাড়া টানা-হেচড়া করে খতিবের কাপড়-চোপড় ছিড়ে চরমভাবে অপমান করে। বর্তমানেও অভিযুক্ত সভাপতির হুমকি-ধমকি অব্যাহত রয়েছে। তিনি যে কোন মুহুর্তে বড় ক্ষতি সাধন করতে পারে এমন আশংঙ্কা প্রকাশ করছেন খতিব।

মসজিদের খতিব মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, মসজিদে কমিটি নিয়ে বিরোধ চলমান। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরেও অভিযোগ রয়েছে। ঘটনারদিন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফেরার পথে সভাপতির বাড়ির সামনে আমাকে থামিয়ে মারধর ও অপমান করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় জানে রক্ষা পেয়েছি।

স্থানীয় নবী হোসেন জানান, মসজিদের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন। বর্তমানে একটি কমিটি আছে। মসজিদের সঠিক ভাবে হিসেব দিতে না পারায় পূর্বের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। খতিবকে মারধরের ঘটনা খুবই জগন্য।

অভিযুক্ত নুরুল আমিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মেরেছি বলেছে নাকি, প্রশ্ন করে ফোন কেটে দেন।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৩ অক্টোবর জুমার নামাজের সালাম ফেরানোর সাথে সাথে অভিযুক্ত সভাপতি নুরুল আমিন মসজিদের ভেতর দাঁড়িয়ে খতিবকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গত ১৯ নভেম্বর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি ইসলামী ফাউন্ডেশন লোহাগাড়ার মডেল কেয়ারটেকার (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদুল হককে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।

ইসলামী ফাউন্ডেশন লোহাগাড়ার মডেল কেয়ারটেকার (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদুল হক জানান, দায়িত্ব পাওয়ার পর দুইবার ঘটনাস্থলে গিয়ে মুসল্লী ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছি। ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পর অভিযুক্ত সভাপতি নুরুল আমিন মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকী-দমকী দিয়েছে। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দিবেন বলে জানান তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আহমদ জানান, দয়ার পাড়া বায়তুশ শরফ মসজিদে কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। কয়েক জুমা ধরে খতিবের উপর হামলা চলছে। আজ খতিবকে সভাপতি নুরুল আমিন কর্তৃক মারধরের বিষয়টি খুবই নগন্য ঘটনা বলে জানান তিনি।

লোহাগাড়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই রহমান জানান, মসজিদের খতিবকে মারধরে বিষয়ে লোহাগাড়া থানায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!