Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়ায় প্রতারকচক্র অসহায় পরিবার থেকে হাতিয়ে নিয়েছে অর্ধলক্ষ টাকা

লোহাগাড়ায় প্রতারকচক্র অসহায় পরিবার থেকে হাতিয়ে নিয়েছে অর্ধলক্ষ টাকা

এলনিউজ২৪ডটকম : করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশ সরকার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১শ জন বন্দীকে মুক্তি দেবে এমন সংবাদ দিয়ে এক অসহায় পরিবার থেকে অর্ধলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র। সোমবার (১৬ মার্চ) বিকেলে লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুমিরাঘোনা জঙ্গলী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতারণার শিকার হয়ে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশী সহায়তা চাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।

জানা যায়, গত ৮ মাস যাবত একটি হত্যা মামলায় ওই এলাকার আবদুল জব্বারের পুত্র আবদুর রহিম (৩৫) চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী রয়েছেন। কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেলযোগে শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রহিমের বাড়িতে এসে তা মা ও স্ত্রীকে খুঁজতে থাকে। এ সময় তারা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১শ জন বন্দীকে মুক্তি দেবে সরকার। তারা সেই তালিকায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টার মধ্যে এক লাখ টাকা দিতে না পারলে ১শ জনের তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে আবদুর রহিম। এই তথ্য কাউকে জানাতেও নিষেধ করেন তারা।

কারাবন্দী আবদুর রহিমের স্ত্রী কমরুন্নিসা জানান, তার পরিবার সম্পর্কে ও অন্যান্য কথাবার্তায় মনে হয়েছে তারা সত্য বলছেন। এছাড়া জেল পুলিশের নাম্বার বলে একটা মোবাইলে কথা বলিয়ে দেন। আমার শ্বাশুড়ি বৃদ্ধা মানুষ ফোনে কথা বলে ধরে নেন তার ছেলের সাথেই কথা বলেছে। এরপর আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ৫/১০ হাজার টাকা করে ধার নিয়ে তিনটি বিকাশে নাম্বারে ৫০ হাজার টাকা দেয়। কথা ছিল বিকেল ৪টার মধ্যে আবদুর রহিম জেল থেকে বের হয়ে মাকে ফোন দিবে। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলে তার ছোট ভাই তারেক ওই যুবকদের মোবাইলে ফোন দেয়। কিন্তু নাম্বারগুলোতে রিং হলেও রিসিভ না করায় তাদের সন্দেহ জাগে। পরে ৯৯৯- এ কল করে বিষয়টি জানালে লোহাগাড়া থানার এসআই বেলালের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে আসেন। প্রতারকরা বিকাশ ও কথা বলাসহ পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে ০১৮৩৪-২৩১০৪৭, ০১৮৯১-৫১৬২৩৮ ও ০১৬১৪-৯০৩৩৩১ এই মোবাইল নাম্বার।

লোহাগাড়া থানার এসআই বেলাল উদ্দিন জানান, আমাদের দেশের কিছু কিছু মানুষ এখনো কতোটা বোকা রয়ে গেছে এ ঘটনা তার জলন্ত উদাহরণ। এই গরীব পরিবার প্রতারকের খপ্পরে পড়ে অর্ধলক্ষ টাকা হারিয়েছে দেখে আমার নিজেরই খারাপ লাগছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ রফিক জানান, ঘটনা সত্য। ওরা দিনমজুর পরিবার। সম্ভবত প্রতারকরা কেউ আবদুর রহিমের সাথে জেলে বন্দী ছিল। সেখানে আলাপচারিতায় ঘরবাড়ির তথ্য-উপাথ্য নিয়ে সুযোগ বুঝে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!