ব্রেকিং নিউজ
Home | লোহাগাড়ার সংবাদ | লোহাগাড়ায় অর্ধশতাধিক ইটভাটার কারণে বিরান হচ্ছে পাহাড়-বনাঞ্চল ও ফসলী জমি

লোহাগাড়ায় অর্ধশতাধিক ইটভাটার কারণে বিরান হচ্ছে পাহাড়-বনাঞ্চল ও ফসলী জমি

95

এলনিউজ২৪ডটকম : প্রাকৃতিক সম্পদের লীলাভূমি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ, পাহাড়ি মাটি ও ফসলী জমির উর্বর অংশ বিরান হচ্ছে অবৈধভাবে গড়ে উঠা অর্ধশতাধিক ইটভাটার কারণে। অভিযোগ রয়েছে সংরক্ষিত বনের কাঠ, পাহাড়ি মাটি ও ফসলী জমির উর্বর অংশ ব্যবহার হচ্ছে এসব ইটভাটায়। এতে লোহাগাড়া ও এর আশপাশের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও চুনতি অভয়ারণ্য দিন দিন মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। হারাচ্ছে জীববৈচিত্র। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে নামমাত্র ছাড়পত্র দেখিয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে ও কৃষি জমিতে তৈরি করা হয়েছে এসব ইটভাটা। উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগের নীরবতার কারণে ইটভাটার মালিকেরা ইচ্ছে মতো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাঠ, পাহাড়ের মাটি ও ফসলী জমির উর্বর অংশ ব্যবহার করছে। অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগের আইনে ইটভাটার স্থান ও ইট উৎপাদনের সুনির্দিষ্ট নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। নিয়মিতভাবে পাহাড়ের মাটি ও গাছ উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে। সরকারী নীতিমালায় রয়েছে জিকজ্যাগ কিলন, ভাবটিক্যাল স্যাফট ব্রিজ, হাইব্রিড হফম্যান কিলন পদ্ধতির ইটভাটা তৈরীর। কিন্তু ইটভাটার মালিকরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় জনগণের কথা চিন্তা না করে সরকারের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জিকজ্যাগের পরিবর্তে উপজেলার বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও চুনতি অভয়ারণ্য এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে লম্বা চিমনির ইটভাটা। কৃষিজমির উপরি অংশ পাহাড়-টিলা থেকে মাটি কেটে ইটের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। নির্ধারিত মাত্রায় কয়লা ব্যবহার করতে হবে। সরকারী বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা কৃষি জমি, পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা তৈরী করা যাবে না। ইটভাটা তৈরীর ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা থাকলেও তা উপক্ষো করা হচ্ছে। উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটা সংরক্ষিত বনের আধা কিলোমিটারের মধ্যে। এর মধ্যে চরম্বায় নুরুল ইসলামের আইবিএম, শাহ আলমের বিবিএম, নজির মেম্বারের এসবিএম, মোঃ জামালের এসএমবি, মোঃ রশিদের কেবিএম, নুরুল আলমের এমবিএম, আবদুল জবআবরের ফোরবিএম, শাহ আলমের সেভেনবিএম ও নুরুল ইসলামের আইবিএম ইটাভাটা। পুটিবিলায় খায়ের আহমদের কেএন ব্রিকস, জয়নাল আবেদীনের রহমানিয়া ব্রিকস, মনজুরুল আলমের বড় মাওলানা ব্রিকস ও মোঃ ইদ্রিসের আরএন ব্রিকস, চুনতিতে বিমল বড়–য়ার তানি ব্রিকস, বড়হাতিয়ায় আবদুল হকের বড়হাতিয়া ব্রিকস, মোঃ ফেরদৌসের জব্বারিয়া ব্রিকস, আমির হোসেনের কালু বিক্রস সহ আরো অনেক ইটভাটা বনাঞ্চলে পাশেই অবস্থিত। এসব ইটভাটা বনাঞ্চলের কাছে হওয়ায় পোড়ানো হচ্ছে বনের গাছ ও ইট তৈরীতে ব্যবহার হচ্ছে পাহাড়ের মাটি। লোহাগাড়ায় আইন অমান্য করে যেসব ইটভাটা হড়ে উঠেছে এবং উঠছে সেগুলোর মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোরদাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!