ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় করোনার ওষুধ পাওয়ার গুজবে রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড চলছে

লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় করোনার ওষুধ পাওয়ার গুজবে রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড চলছে

নিউজ ডেক্স : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ঘরে থাকাসহ নানান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করে একশ্রেণির মানুষ ব্যস্ত গুজব ছড়াতে। সাদা পাকুড় গাছের বীজের মতো দেখতে কিছু বীজ নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার করোনার ওষুধ পাওয়ার গুজবে রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড চলছে।
 

জেলার বোয়ালখালী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া, লোহাগাড়া, সীতাকুণ্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় এ গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর সাদা রঙের এই বীজ সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে তা খাচ্ছে কতিপয় মানুষ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগের প্রতিষেধক বা ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রতিষেধক ব্যবহারযোগ্য করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং সময়সাপেক্ষ। প্রতিষেধক আবিষ্কারে সময় বাঁচাতে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। কাজেই কোনো ফলের বীজ খেয়ে করোনামুক্তির চেষ্টা নিছক পাগলামি।

জানা গেছে, করোনার ওষুধ পাওয়ার গুজবে বিভিন্ন এলাকায় সাদা আকৃতির এসব বীজ সংগ্রহ করছে মানুষ। কেউ আবার রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়ার কথা বলে পানিতে ভিজিয়ে রাখছেন। তাদের বিশ্বাস, পানিতে ভিজিয়ে এই বীজ খেলে রোগমুক্ত হওয়া যাবে।

জানতে চাইলে উদ্ভিদবিদ্যার শিক্ষক নাজমুল আলম বলেন, ছবি দেখে মনে হচ্ছে- এটা অনেকটা সাদা পাকুড় গাছের বীজের মতোই। পাকুড় পাতা ঝরা গাছ। বসন্তের শেষে পাতা ঝরে যায়, গ্রীষ্মের শুরুতে নতুন পাতা গজায়। পাতার রং গাঢ় সবুজ। তবে কচি পাতার রং হালকা সবুজ। সাদা পাকুড়ের ডাল-পাতা ও বীজ কাটলে সাদা আঠা  বের হয়। নতুন পাতা গজানোর পরপরই গাছে ফুল আসে। ফুল খুবই ছোট ও ফলের মতো গোল। ফুল থেকেই ফল বা বীজ হয়। হেমন্তকাল পর্যন্ত গাছে বীজ থাকে। যার রং সাদা। এই বীজ মসৃণ, গোলাকার ও ছোট, মাত্র এক সেন্টিমিটার। পাকা বীজের রং হালকা হলুদ। এর ভেতর সরিষার দানার মতো ছোট ছোট অনেক বীজ থাকে।

রাউজান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অর্পণ ব্যানার্জী বলেন, সব ফল বা বীজ খাওয়ার যোগ্য নয়। পাকুড় গাছের বীজের মতো দেখতে এই বীজ কোনভাবেই খাওয়ার যোগ্য নয়। এসব বুনো বীজ খেলে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। করোনার প্রকোপের এই সময়ে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এসব নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মনোজ চৌধুরী বলেন, এটা গুজব। এই বীজ খেলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বেশিরভাগ ফুড পয়জনিং এর জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও পরজীবীর সংক্রমণ। মানুষ যে খাবার খায় তার বেশিরভাগের মধ্যেই প্যাথোজেন বা জীবাণু থাকে। কাঁচা ফলমূল ও সবজি ফুড পয়জনিং এর জন্য দায়ী। কোনো ফল বা ফলের বীজ খেলে করোনামুক্ত হওয়া যাবে-এটা হাস্যকর। বাংলানিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!