নিউজ ডেক্স : এবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও পৌঁছে গেল করোনা। ঘনবসিতপূর্ণ এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা নিয়ে বার বার সতর্ক করা হলেও এখানে আজ বৃহস্পতিবারই (১৪ মে) প্রথম করোনারোগী শনাক্ত হয়।
করোনা আক্রান্ত দুই রোহিঙ্গাকে স্থানীয় আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে ১২ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয় যাদের মধ্যে বাকি ১০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
করোনা আক্রান্ত রোহিঙ্গা দুইজনের একজন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাকে স্থানীয় এমএসএফ হাসপাতালের ওসিআই আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অপর রোহিঙ্গা লাম্বাশিয়া ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাকে ২নং ক্যাম্পের আইওএম-এর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্যদেরও হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
আগামীকাল শুক্রবার কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের আইইডিসিআর-এর ল্যাবে তাদের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু মো. তোহা।
কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের (কমেক) অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া জানান, বৃহস্পতিবার কমেক-এর আইইডিসিআর-এর ল্যাবে ১৮৬ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ রোহিঙ্গাসহ ১২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এবং অন্যদের রিপোর্ট নেগেটিভ। করোনা শনাক্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কক্সবাজার সদরের ৯ জন এবং ১ জন চকরিয়ার।
তিনি জানান, কমেক-এর আইইডিসিআর-এর ল্যাবে কক্সবাজার জেলা ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা এবং বান্দরবান জেলার বাসিন্দাদের জন্য পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ভিন্ন জেলার কোনো বাসিন্দার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২২ জনে।
এরমধ্যে চকরিয়ায় ৩৮ জন, কক্সবাজার সদরে ৩৫ জন, পেকুয়ায় ২০ জন, উখিয়ায় ১৬ জন (২ জন রোহিঙ্গা সহ), মহেশখালীতে ১২ জন, টেকনাফে ৭ জন এবং রামুতে ৪ জন। কুতুবদিয়ায় এখনও করোনারোগী শনাক্ত হয়নি।
তিনি জানান, কক্সবাজারে প্রথম করোনারোগী ধরা পড়ে গত ২৪ মার্চ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। এ প্রথম রোগীসহ ইতোমধ্যে ৩৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
কক্সবাজারের একমাত্র করোনা রোগী মারা যান গত ৩০ এপ্রিল সদর হাসপাতালে। রামুর এ রোগীকে আগের দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দৈনিক আজাদী