নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে একলাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসনের জন্য নোয়াখালীর ভাসান চরকে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গার পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়ার পর দুই বছর আগে নোয়াখালীর হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ভাসানচরে তাদের আবাসনে প্রকল্প নেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাসানচরে আবাসন এবং দ্বীপের নিরাপত্তায় নেয়া প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে এবং ‘১ লক্ষ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকের পুনর্বাসনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে’।
প্রকল্পটির জন্য সরকারের তহবিল থেকে দুই হাজার ৩১২ কোটি ১৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে দুই হাজার ২৬৫ কোটি ৯০ লাখ ৪৪ টাকা ব্যয় হয়েছে। বাকি ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা ‘জরুরি তহবিল’ হিসেবে রাখা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে নৌবাহিনী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া, সেনা সদর দপ্তরের লে. জেনারেল মো. সফিকুর রহমান, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও পেছনে ফেলে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে ২০১১ সালেও দলে দলে রোহিঙ্গার তাদের দেশ ছেড়ে আসে। কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে থাকা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক ডাটা রয়েছে সরকারের কাছে।
তাদের আশ্রয় দেয়া হয় কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে। সেখানে আগে আসা আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের আবাসনের জন্য উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিস্তীর্ণ পাহাড় ও বনভূমি কাটতে হয়েছে। -বিডিনিউজ