ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বে-টার্মিনালের জমি বুঝে পেল বন্দর কর্তৃপক্ষ

বে-টার্মিনালের জমি বুঝে পেল বন্দর কর্তৃপক্ষ

CPA_BayTerminal_Map_Transfer_DC-Office-7-825x510

নিউজ ডেক্স : বে-টার্মিনাল-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রাক্কালে জেলা প্রশাসন গতকাল মঙ্গলবার ৬৭ একর জমির দখল সরেজমিনে বুঝিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল টেলি-কনফারেন্সে এই টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্যম হালিশহর মৌজায় প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা ব্যক্তিমালিকানাধীন ঐ জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৬৪ কোটি টাকা ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসনকে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা নৃপতিশীল গতকাল সরেজমিনে জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষকে। এ সময়ে বন্দরের পর্ষদ সদস্য কমডোর আকতার হোসেনসহ সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বন্দর কর্তৃপক্ষ বে-টার্মিনালের জমিতে লাল পতাকা ও খুঁটি স্থাপন করেছে। হস্তান্তরিত ভূমির সাথে সমুদ্রমুখে প্রায় ৫০০ একর এলাকা রয়েছে দু’কিলোমিটার লম্বা। জোয়ারে ডুবে যায় সেই জায়গা। কোন বসতি বা স্থাপনা নেই সেখানে। তাসহ আরও মোট ৮২১ একর সরকারি খাসজমি বন্দোবস্ত পাওয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং সরকারি খাস জায়গা মিলিয়ে মোট ৮৮৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। সমুদ্র থেকে ভূমি পুনরুদ্ধারের পর মোট জমির পরিমাণ দাঁড়াবে ২৫০০ একর। আর তা হলো বন্দরের বর্তমান অপারেশনাল এরিয়ার প্রায় ৬ গুণ। বর্তমান অপারেশনাল এরিয়ার পরিমাণ ৪০০ একর।

বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পরপরই শুরু হবে নির্মাণ কাজ। বে-টার্মিনালের ওখানে ডেলিভারি ইয়ার্ড তৈরি করা হবে কন্টেইনারের। তা হবে বর্তমান ইয়ার্ডের এক্সটেনশন। সেখানে আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশ কন্টেইনার ক্যাপাসিটি স্থানান্তর হবে। এরপর ক্রমান্বয়ে ইয়ার্ড বাড়বে এবং ক্যাপাসিটি স্থানান্তর হবে। বর্তমানে এলসিএল কন্টেইনারের পণ্য ডেলিভারি দেয়া হয় জেটি থেকে।

পোর্ট এক্সেস রোড থেকে বঙ্গোপসাগরের উচ্চ জোয়ারের সীমারেখা পর্যন্ত স্থানটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য। উপকূলের প্রায় ৬ কিলোমিটারজুড়ে নির্মিত হবে বে-টার্মিনাল। প্রস্তাবিত এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘের ডুবোচর রয়েছে। সেটাকে টেকসই করার জন্য ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করতে হবে। এরজন্য ডিটেইলড ডিজাইনও সম্পন্ন হয়েছে।

বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নে আনুমানিক খরচ হবে ২ বিলিয়ন ডলার। এই বিনিয়োগ ১১ বছরের মধ্যে ওঠে আসবে বলে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!