ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বিপুল ব্যয়ের আকাঙ্ক্ষা থাকলেও আয়ের সামর্থ্য কম : বিএনপি

বিপুল ব্যয়ের আকাঙ্ক্ষা থাকলেও আয়ের সামর্থ্য কম : বিএনপি

7d389afd28c518189de177aa0f47f8d0-5d037e6b04a1f

নিউজ ডেক্স : ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলে মন্তব্য করে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাজেটে সরকারের ব্যয় করার উচ্চাভিলাষ থাকলেও আয় করার সামর্থ্য কমে গেছে।

আজ শুক্রবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাজেটের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে বিএনপি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বাজেট প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমানুষের কোনও আগ্রহ নেই। বছর শেষে এই বাজেট কাটছাঁট করা হয়। এটা উচ্চাভিলাষী বাজেট। বাজেটে আরও ঘাটতি বাড়বে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাজেটে সরকারের ব্যয় করার উচ্চাভিলাষ থাকলেও আয় করার সামর্থ্য কমে গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাজেটের স্লোগান, ‘সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের।’ আসলে এটা তাদের (আওয়ামী লীগ), একমাত্র তাদের। এটা জনগণের বুঝতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।

বাজেটে নতুন আইনে ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে, যা জিনিসপত্রের দাম বাড়াবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ভ্যাট আইন কার্যকর হওয়ায় করের ওপর আবার কর আরোপ হবে। এর ফলে জিনিসপত্রের দাম সাড়ে ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে যার চাপ পড়বে সম্পূর্ণ ভোক্তার ওপর।

তিনি বলেন, ‘আগামী ১ জুলাই থেকে ভ্যাট ও সম্পূরক আইন ২০১২ কার্যকর করা হবে। নতুন আইনে ভ্যাটের স্তর থাকবে পাঁচটি। এই স্তরভিত্তিক ভ্যাট হার অনেক অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ব্যবসায়ীরা রেয়াত নিতে না পারলে এটি আবগারি শুল্কের মতো হয়ে যেতে পারে। রেয়াতের টাকা কীভাবে দেয়া হবে সেই বিষয়ে পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন আইনে ব্যবসায়ীরা রেয়াত চাইতে শুরু করলে সরকারকে নিজের পকেটের টাকা দিতে হবে। এ জন্য বছরে ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে। এ ভাবে নতুন আইনটি কার্যকর হতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।’

বাজেট বড় করার সমালোচনাও করেন ফখরুল। বলেন, ‘বাজেটের আকার বড় করার চমক সৃষ্টির প্রতিযোগিতায় নেমেছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু বাজেট বৃদ্ধির এ প্রগলভতা বছর শেষে চুপসে যেতে দেখা যায়। বাজেটের আকার কত বড়-এ নিয়ে আর জনমনে কোন উচ্ছ্বাস নেই। কেননা প্রত্যেক বছর বছরের শেষ দিকে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ যেভাবে কাট-ছাঁট করা হয়তাতে বিরাট আকার বাজেটের অন্তঃসার শূন্যতাই প্রকাশ পায়।’

বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এটি ৩৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা বেশি। এত টাকা আদায় করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে তাতে ঘাটতি বরং আরও বাড়বে।’

বিএনপি নেতা বলেন, ঘোষিত বাজেটের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ- সময় এখন আমাদের সময় এখন বাংলাদেশের’। কিন্তু এই তথাকথিত উন্নয়নের ‘গীত’ আর মানুষ শুনতে চায় না। কর আর দ্রব্যমূল্যের চাপে ভোক্তা সাধারণের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে। আয়-বৈষম্য, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক নৈরাজ্যের কারণে সামাজিক অস্থিরতার মুখোমুখি জনগণ এখন আর উন্নয়নের মিষ্টি কথায় সন্তুষ্ট হতে পারছে না।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!