নিউজ ডেক্স : সীতাকুণ্ডের কুমিরা বাইপাসে বরযাত্রীর একটি গাড়িতে ডাকাতের হানার পর র্যাবের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সেলিম নামের এক ডাকাত নিহত হয়। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, হাটহাজারীর আমান বাজারের তুলার ফ্যাক্টরির মালিক সামসুদ্দিনের মেয়ে নিপুর শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে বিয়ের মালামাল নিয়ে একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন ২১ বরযাত্রী। গাড়িটি কুমিরা বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে ছয়-সাত সদস্যের একদল সশস্ত্র ডাকাত লোহার পাইপ ছুড়ে মেরে বরযাত্রীর গাড়িটির গতি রোধ করে। তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে।
সর্বস্ব হারিয়ে ফেরার সময় ছোট কুমিরায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টহলরত র্যাব-৭ এর টহল দলকে দেখতে পেয়ে বরযাত্রীরা অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদের খুঁজতে থাকেন। ওই সময় ডাকাত দলের সদস্যরা জঙ্গলে বসে ডাকাতির জিনিসপত্র ভাগাভাগি করছিল। হঠাৎ ডাকাতরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়িভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে। আত্মরক্ষা ও সরকারি জানমাল রক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গুলি বিনিময়ে র্যাবের সঙ্গে টিকতে না পেরে কিছু সময় পর ডাকাত দল পিছু হটে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে একজন অজ্ঞাতনামা ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ডাকাতি করা মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ওয়ানশ্যুটার গান, ১টি ম্যাগাজিন, ১১ রাউন্ড গুলি-কার্তুজ, ৭ রাউন্ড খালি খোসা, ৩টি ছোরা, ৪টি রামদা এবং ২টি লোহার পাইপ। নিহত ডাকাতের মানিব্যাগে রক্ষিত কাগজের মাধ্যমে জানা যায় যে, নিহত ডাকাতের নাম মো. সেলিম।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিরাপদ রাখার চেষ্টায় র্যাবের ডাকাতবিরোধী অভিযানে ইতিপূর্বে ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল জোরারগঞ্জ থানাধীন এলাকায় ডাকাতির সময় র্যাবের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে ২ জন ডাকাত, ২৯ অক্টোবর মিরসরাই থানাধীন এলাকায় ৩ জন ডাকাত এবং ১৮ নভেম্বর ফেনী জেলার সদর থানাধীন লালপোল এলাকায় ২ জন ডাকাত নিহত হয়। -বাংলানিউজ