ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | বন রক্ষা না করলে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে: উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি

বন রক্ষা না করলে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে: উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি

এলনিউজ২৪ডটকম : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি বলেন, বন রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বন রক্ষা করতে না পারলে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে যেটুকু বন আছে ততটুকু রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি আরো বনায়ন বাড়াতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে পরিবেশ, বন, প্রতিবেশ সবকিছুকে রক্ষা করার জন্য অডিনেন্স তৈরি করেছেন। ১৯৭৪ সালে আইনও তৈরি করে দিয়েছেন। বর্তমান সরকারে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। পরিবেশের দিক থেকেও পৃথিবীর সর্বোচ্চ পুরস্কার বর্তমান সরকার পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের পদুয়া রেঞ্জ কার্যালয় প্রাঙ্গণে সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের লভ্যাংশের এবং বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম- ১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী ও লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবিব জিতু।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন হিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান মিন্টু, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মিয়া মুহাম্মদ শাহজাহান, লোহাগাড়া শহর উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুধী, সাংবাদিক ও সামাজিক বনায়নে উপকারভোগী এবং বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের প্রশাসনিক অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় সামাজিক বনায়নের আওতায় উপকারভোগী ৯৫ সদস্যের মাঝে লভ্যাংশের ৮২ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮৭ টাকা ও বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪ ব্যক্তির মধ্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ বাবদ ২২ লাখ ১৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি।

উল্লেখ্য, মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসন এবং বন্যহাতি দ্বারা সাধারণ জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ কল্পে লোকালয় হতে জঙ্গলে বন্যহাতি নিরাপদে ফেরত পাঠাতে এ বনবিভাগের আওতাধীন সকল রেঞ্জ/বিটের অধীনে ৩৩টি এ্যালিফেন্ট রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের সদস্য ও বনকর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাতি উপদ্রব-বিচরণকৃত এলাকায় নিয়মিতভাবে টহল প্রদান, জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা, পথ সভা করা হয়। এছাড়া হাতি লোকালয়ে চলে আসলে করণীয় সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ, বন্যহাতির আক্রমণে সাধারণ জনগণের ক্ষয়ক্ষতি হলে বিধি মোতাবেক আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষটি মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করাসহ ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!