নিউজ ডেক্স : ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ অর্থাৎ হেলমেট না পরলে পেট্রোল পাম্প থেকে মিলবে না জ্বালানি। চট্টগ্রাম শহরেও এ নিয়ম চালু হয়েছে চারদিন হলো। এ নিয়ম মানতে গিয়ে মোটরসাইকেল চালকদের অনেককে হেলমেট কিনতে হয়েছে। আর যারা এখনো কিনেননি তারা কিভাবে জ্বালানি সংগ্রহ করবেন পেট্টোল পাম্প থেকে? কায়দা ইতোমধ্যে বের করে ফেলেছেন মোটরসাইকেল চালকরা। কায়দাটা বেশ অভিনবও বটে। হেলমেট থাকা চালকের কাছ থেকে ক্ষণিকের জন্য হেলমেট ধার নিয়ে জ্বালানি সংগ্রহ করা। হেলমেট ‘রেশনিং’ এর মতো অবস্থা।
যাদের হেলমেট নেই তারা পেট্টোল পাম্পের আশপাশে গিয়ে অপেক্ষায় থাকছে। হেলমেটওয়ালা কাউকে জ্বালানি নিয়ে বের হওয়ার সময় দাঁড় করিয়ে তার কাছ থেকে হেলমেট নেয়া হয়। এরপর জ্বালানি সংগ্রহ করেন হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকরা। গতকাল রোববার ওয়াসার মোড়স্থ একটি পেট্টোল পাম্পে দেখা গেছে এ চিত্র। অবশ্য কেউ কেউ হেলমেট ধার দিলেও অনেকেই তা দেননি।
এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করা কয়েকজন বলেন, আমরা অদ্ভুত এক জাতি। যে আইনই করা হোক তাকে ভাঙ্গার জন্য অভিনব কায়দা বেছে নেয়া হয়। এক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। তারা আরো বলেন, কত টাকাইবা হবে একটি হেলমেটের। অথচ এ হেলমেটের জন্য প্রান যায় মানুষের।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার নগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান নির্দেশ জারি করেন, ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল।’ তিনি এ নিয়ম মানার জন্য নির্দেশ পাঠিয়েছেন নগরের পেট্রোল পাম্পগুলোতে। তবে এ নিয়ম চালু হলেও হেলমেট ছাড়াও অনেক পেট্রোল পাম্পে মোটরসাইকেল রাইডারদের তেল নিতে দেখা গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মাথায় হেলমেট না পরার ফলে দুর্ঘটনায় অনেকেই হতাহত হচ্ছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মোটরসাইকেল রাইডারদের অনেকেই হেলমেট পরতে অনীহা দেখান। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, প্রতিমাসে চট্টগ্রাম শহরে ১০ থেকে ১৫ জন মোটরসাইকেল রাইডার হতাহত হয়ে ভর্তি হন ওই হাসপাতালে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হেলমেট না পরার কারণে দুর্ঘটনায় পড়েন তারা।
সূত্র : দৈনিক আজাদী