ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপ্রকল্পের কাজে ২৭ ভাগ অগ্রগতি

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপ্রকল্পের কাজে ২৭ ভাগ অগ্রগতি

Bg-120190704095751

নিউজ ডেক্স : দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল প্রকল্পের কাজ ২৭ ভাগ শেষ হয়েছে। বনবিভাগ থেকে জমি পাওয়ার পর এ কাজ আরও দ্রুতগতিতে চলছে। প্রকল্পের কাজের মনিটরিং চলছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। ২০২২ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আশা, মেয়াদের আগেই কাজ শেষ হবে।

জানা যায়, ২০১০ সালে যখন প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়, তখন দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার সীমান্তের গুনদুম পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ করার কথা ছিলো। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল প্রকল্পটি আবার সংশোধন করে ২০১৮ সালের মধ্যে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার অংশটির কাজ শেষ করার শর্ত দেওয়া হয়।

কিন্তু সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমি বুঝে না পাওয়ায় প্রকল্পটির নির্মাণকাজ আটকে থাকে। পরে ২০১৭ সালের আগস্টে এবং ২০১৮ সালের মার্চে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। কয়েকমাস আগে বনবিভাগ থেকে সম্পূর্ণ জমি বুঝে পায় রেলওয়ে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে কক্সবাজার জেলায় রয়েছে ১৬৫ দশমিক ১১ একর ও চট্টগ্রাম জেলায় ৪২ দশমিক চার একর জমি।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইনের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. মফিজুর রহমান বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বনবিভাগ থেকে আমরা জমি বুঝে পেয়েছি। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ২৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, রেললাইনের রাস্তা নির্মাণসহ অনেক কাজ এখন দৃশ্যমান হচ্ছে। বনবিভাগ থেকে জমি বুঝে পেলেও গাছ কাটার অনুমতি এখনও পাইনি। অনুমতি পেলে কাজের আরও অগ্রগতি হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম হয়ে দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার যাওয়ার পথে রামু হবে জংশন। সেখান থেকে একটি লাইন চলে যাবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের পাশে। আরেকটি লাইন পূর্বদিকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম যাবে। সৈকতের স্টেশনটি হবে বিশাল ঝিনুক আকৃতির। এর ভেতরেই হবে প্ল্যাটফর্ম এবং যাত্রী আসা-যাওয়া ও বসার লাউঞ্জ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-গুনদুম রেললাইন স্থাপিত হলে যোগাযোগসহ দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বারও বিস্তৃত হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যটন শহর কক্সবাজার রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। এতে পর্যটন শিল্পের যেমন বিকাশ ঘটবে, তেমনি প্রসার হবে সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যেরও।

সূত্র : বাংলানিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!