নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে বিদেশি এক পর্যটককে হেনস্তার ঘটনার মূলহোতা বলে চিহ্নিত বখাটেকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় তাকে টেকনাফের হ্নীলা স্টেশন এলাকা থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তায় আটক করা হয়। টেকনাফ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিত দত্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
টেকনাফ থানা পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের নাম মো. সালমান (১৮)। তিনি টেকনাফের হ্নীলা নাটমুড়া পাড়ার আবদুল খালেকের ছেলে। সালমান হ্নীলার এমএনসি কলেজের শিক্ষার্থী। তাকে বর্তমানে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। বিদেশি পর্যটককে হয়রানির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। – জাগো নিউজ
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে বিদেশি এক পর্যটককে ঘিরে ধরে উত্ত্যক্ত করার ভিডিওতে আবদুল খালেকের ছেলে সালমানকে দেখা যায়। ভাইরাল ভিডিওটি দেখে চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠলে তাকে ডেকে বিদেশি পর্যটকের সাথে অশালীন আচরণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়। তখন সে বলে, মজার ছলে এটি করা হলেও তা উচিত হয়নি। সে অবশ্য পরে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে আরেকটি ভিডিও বার্তা ছেড়েছে। এরপর টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।
গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে করা ভিডিওটি টেকনাফের বাসিন্দা সালমানের বন্ধু ফয়সাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন। তাতে দেখা যায়, বিদেশি ওই পর্যটকের সাথে ইংরেজির মিশেলে আঞ্চলিক ভাষায় গালি-গালাজ ও দৈহিক নানা অঙ্গভঙ্গি করে হাসাহাসি করছিল সালমানের নেতৃত্বাধীন র্যাগিং গ্যাংটি। ভিডিওটি মুহুর্তে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, কক্সবাজারকে পর্যটন রাজধানী হিসেবে জাহির করা হয়। নির্মাণাধীন বিভিন্ন এক্সক্লুসিভ জোনের কারণে কক্সবাজারের পর্যটন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। এমন সময় বিদেশিদের সাথে এতদঞ্চলের তরুণ সমাজের এ ধরনের আচরণ বড়ই লজ্জার।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, পর্যটনে কক্সবাজারকে বিশ্বময় করতে সরকারে প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রশাসন। আমাদের কামনা কক্সবাজারের সর্বস্তরের লোকজন এ প্রচেষ্টায় শামিল হবে। পর্যটকবাহী জাহাজে এক বিদেশির সাথে তরুণদের আচরণ চরম দুঃখজনক। এ গ্রুপের একজনকে আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে। বাকিদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।