ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের কাজে ধীরগতি

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের কাজে ধীরগতি

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের কাজের গতি আশানুরূপভাবে এগোচ্ছে না। প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে একেবারে ধীরগতিতে। সে কারণে টার্গেট টাইম চলতি বছরের জুনে তো নয়ই, ডিসেম্বরেও প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বলতে গেলে অনেকটা রেলের মতোই ধীরগতিতে চলছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের কাজের গতি।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পটি গ্রহণের সময় ২০১৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। পরবর্তীতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ২০১৮ সাল পর্যন্ত। ঠিকাদার নিয়োগ করা হয় ২০১৭ সালে। তখন প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময়সীমা ঠিক করা হয়েছিল চলতি বছরের (২০২২ সালের) জুন পর্যন্ত।

চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই ভাগে কাজটি করছে। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। তবে কাজের অগ্রগতি আশানুরূপ নয়।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত জানুয়ারি পর্যন্ত এ প্রকল্পের কাজ অগ্রগতি মাত্র ৬৬ শতাংশ। চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০২৩ সালের জুনে চালু হতে পারে নতুন এই রেলপথ। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনসহ রেলের কর্মকর্তারা আগামী ডিসেম্বরে রেলপথটি চালুর কথা বারবার বলে আসছেন। বর্তমান সময়ের কাজের অগ্রগতি দেখে সেই আশা করা যাচ্ছে না।

সরেজমিন দেখা যায়, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার অংশে ১৯টি ছোট ও বড় সেতুর সবকটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্টেশন বিল্ডিংগুলোর নির্মাণকাজ চলমান। ভূমি উন্নয়নকাজও শেষ পর্যায়ে। এদিকে কক্সবাজার-চকরিয়া অংশের ৫০ কিলোমিটার এলাকায় মাটির কাজের পাশাপাশি এগিয়ে চলছে রেললাইন বসানোর কাজও। স্টেশন ভবনগুলোর কাজও একই সঙ্গে চলমান রয়েছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাহ থেকে রামু উপজেলার জোয়ারিয়া নালা এলাকার আরো কিছু এগিয়ে গেছে রেললাইন বসানোর কাজ। সব মিলে প্রায় ১৬ কিলোমিটার রেললাইন বসানো হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক (এপিডি) আবুল কালাম চৌধুরী।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু-কক্সবাজার স্টেশন পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের এখনো পর্যন্ত মাটি ভরাটের কাজ হয়েছে মাত্র ৬৭ শতাংশ।

কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনসহ সবমিলিয়ে নয়টি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে রেলপথটিতে। অন্যান্য স্টেশনগুলো হলো রামু স্টেশন, ইসলামাবাদ, ডুলাহাজারা, চকরিয়া, হারবাং, লোহাগড়া, সাতকানিয়া ও দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন। সব স্টেশনের কাজ চলমান। তার মধ্যে ছয়টি স্টেশনের ছাদ হয়েছে। -আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!