ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রামে বাড়ছে এইডস আক্রান্ত রোগী

চট্টগ্রামে বাড়ছে এইডস আক্রান্ত রোগী

Hiv-22222-2019120106552

নিউজ ডেক্স : প্রবাসীদের মাধ্যমে চট্টগ্রামে বাড়ছে এইচআইভি (এইডস) ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। অসচেতনতায় এইচআইভি ভাইরাস বহনকারী অনেক প্রবাসী পরিবারের অন্য সদস্যদের আক্রান্ত করছেন।

গত এক বছরে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এমন ৪৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত এক মাসে শনাক্ত হয়েছে ৯ জন। এদের মধ্যে শিশু ও হিজড়া ছাড়াও ২২ জন পুরুষ ও ১৭ জন মহিলা রয়েছেন। আক্রান্ত পুরুষ-মহিলাদের মধ্যে অধিকাংশই প্রবাসী ও তাদের স্ত্রী। এছাড়া ২০১৭ সালের তুলনায় এ বছর আক্রান্ত রোগী বেড়েছে ১৫ জন। গত বছর এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৩০ জন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অবস্থিত এইচআইভি শনাক্ত পরীক্ষায় এ তথ্য জানা গেছে।

সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও আজ বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হচ্ছে। ‘এইচআইভি পরীক্ষা করুন; নিজেকে জানুন’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে চমেক হাসপাতালের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যেও এইডসের বিস্তার বেড়েছে। ২০১৭ সালে ৯৭ জনসহ এ পর্যন্ত এইডস আক্রান্ত ২৮৫ জন রোহিঙ্গা শনাক্ত হয়েছেন।

জানা গেছে, আক্রান্ত অনেক রোহিঙ্গা নির্দিষ্ট ক্যাম্পে না থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আশ্রয় নিয়েছে। স্বার্থান্বেষী একটি মহল কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস ও আবাসিক ভবনে রোহিঙ্গা নারীদের যৌনকর্মী হিসেবে ব্যবহার করছেন। সূত্র জানায়, চলতি বছর চমেক হাসপাতালে শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, ১৯ জন নারী ও দু’জন হিজড়া রয়েছেন। এর মধ্যে চারজন মারা গেছেন।

এছাড়া ২০১৭ সালে শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে ছিল ১৯ জন পুরুষ, ১০ জন নারী ও একজন হিজড়া। ২০১৭ সালে তিনজন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এইডস রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, প্রবাসী ও এইচআইভি ভাইরাস বহনকারী রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে চট্টগ্রামে এইডসের বিস্তার বাড়ছে। বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গারা নানা অসুবিধার কারণে কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছেন। সচেতনতার অভাবে অনিরাপদ যৌনমিলনের ফলে রোহিঙ্গা ছাড়াও প্রবাসীরা এইচআইভি ভাইরাস বিস্তার করছেন। চট্টগ্রাম প্রবাসীদের জেলা হিসেবে খ্যাত। প্রবাসে গিয়ে অনেকেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাদের মাধ্যমে স্ত্রী-সন্তানরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে এইচআইভি সেবা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় এইচআইভি আক্রান্তদের জন্য সমন্বিত এইচআইভি সেবাকেন্দ্র (এআরটি) ও মা হতে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রম (পিএমটিসিটি) নামে দু’টি প্রকল্প চালু রয়েছে।

প্রকল্প ম্যানেজার মো. আলী হোসেন বলেন, চমেক হাসপাতালে প্রসবপূর্ব, নিরাপদ প্রসব এবং প্রসবোত্তর চিকিৎসাসেবা নিতে আসা গর্ভবতী মহিলাদের পিএমটিসিটি কার্যক্রমের আওতায় এইচআইভি কাউন্সেলিং এবং টেস্টিং করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ৩৫১ জন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এআরটি সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করছে।

বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও বৈজ্ঞানিক সেমিনার আয়োজন করেছে চমেক হাসপাতাল। এইচআইভি সেবা জোরদারকরণ প্রকল্প হিসেবে ‘বাংলাদেশ এবং চট্টগ্রামের এইচআইভি/ এইডস পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অনুষ্ঠিত হবে। -যুগান্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!